শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল (বুধবার) রাত ১২টায়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে শত শত মাছধরা ট্রলার। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বোঝাই ট্রলার ভিড়তে শুরু করে, যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে ঘাটে দেখা যায়, অনেক ট্রলার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ফিরে এসেছে। এসব ট্রলারে বড় বড় ইলিশ ও অন্যান্য মাছ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, অনেক অসাধু জেলে আগেই গভীর সমুদ্রে চলে গিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বুধবার বিকেলেই অনেক ট্রলার কুয়াকাটা উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্রে নোঙর করে ছিল। সময় শেষ হতেই তারা মাছসহ ঘাটে ফিরে আসে এবং সকাল থেকেই এসব মাছ বাজারে বিক্রি শুরু হয়।
এদিকে, বরফ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞা শেষের ২৪ ঘণ্টা আগে বরফ তৈরির অনুমতি দিলেও এবার ৮ দিন আগেই বরফ উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়, যা অসাধু জেলে ও আড়তদারদের আগেভাগেই সমুদ্রে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে দাবি স্থানীয়দের।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের নিষেধাজ্ঞা ছিল ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। এই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সুষ্ঠভাবে হয়েছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের।
এদিকে, মাছ ধরার সময় বৃহস্পতিবার ভোরে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলিং ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ১২ জেলেকে উদ্ধার করে পাশের একটি মাছধরা ট্রলার।
মৎস্যজীবীরা আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী কয়েকদিনে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ঘাটে ফিরবে, যা বাজারে সরবরাহ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Leave a Reply