রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন,বাউফল প্রতিনিধি॥ একই পরিবারের পাঁচজনের পর বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফলে করোনায় আক্রান্ত আরও ছয় ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তথ্য অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত বাউফলে করোনায় আক্রান্ত আর কোনো রোগী নেই।
করোনাজয়ী ব্যক্তিরা হলেন মোসা. শিল্পী বেগম (২০), মো. জাকির হোসেন (৪০) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. মুনিরা বেগমের (১৫) এবং মো. আবদুস ছালাম ব্যাপারীর (৪০),মো. মিলন গাজী (২৮) ও মো. রিপন (১৮)।
শিল্পীর বাড়ি বগা ইউনিয়নের চন্দবাড়িয়া গ্রামে।তাঁর স্বামীর নাম মো. আরিফ হোসেন (২২)। তাঁদের দেড় বছরের একমাত্র মেয়ের নাম মোসা. আলিফা।
আবদুস ছালামের বাড়ি উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের নওমালা গ্রামে।মিলনের বাড়ি সদর উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে। রিপন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জাকির হোসেন ও তাঁর মেয়ে মুনিরার বাড়ি পাশের গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামে।
শিল্পী, জাকির, মুনিরা, ছালাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজে স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
মিলন বাউফল সরকারি কলেজে স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সুস্থ হওয়ার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। রিপন নিজ ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
করোনাজয়ীদের বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান বালী, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বগা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ন কবির, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত মোট ১৭৫ জনের করোনা শনাক্তকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ১১ জনের মধ্যে একই পরিবারের ছিলেন পাঁচজন। যাঁরা ৭ মে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল বাকি ছয়জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।গতকাল পর্যন্ত এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী চিকিৎসাধীন নেই।
তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কালিশুরী এলাকার মো. হালিম বক্স (৫৫) নামে এক ব্যক্তি ৩০ এপ্রিল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
Leave a Reply