সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখক শিক্ষক এবং শ্রেণিকক্ষের অভাবে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এই উপজেলার ২৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৮টিতে নেই পর্যাপ্ত সংখক শিক্ষক।
জানা গেছে, অবসর গ্রহণ, সুবিধাজনক স্থানে বদলি ও মুত্যুজনিত কারণে পদগুলো শূন্য হলেও শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ৬০টি স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে শূন্য। ফলে স্কুলগুলোতে পাঠদান চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।সরেজমিন দেখা গেছে, ৪৬নং বীরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুকিপূর্ণ জরাজীর্ন টিনশেড ঘরে চলছে পাঠদান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন, ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শাখা থাকলেও কক্ষের অভাবে একই সাথে পাঠদান করতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করতে পারছি না। কোনও আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় ভাঙা কক্ষের সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদেকে সুুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পাঠদানের জন্য একটি পাকা ভবন প্রয়োজন।
একই দৃশ্য দেখা গেছে, ৫০নং আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৯টি শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় একজন শিক্ষককে তার সক্ষমতার বাহিরে একাধিক শ্রেণিতে পাঠদান করতে হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে শামিমা আক্তার ও লিজা আক্তার নামে দুইজন শিক্ষিকা অন্যত্র বদলীর জন্য আবেদন করেছেন। পর্যাপ্ত কক্ষের অভাবে পুরোনো জরাজীর্ন টিনের ঘরে এবং বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারের নিচের উন্মুক্ত পরিবেশে পাঠদান করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও নেয়া হয়নি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি, চলতি দায়িত্বে শিক্ষকের পদোন্নিতিতে কিছু বিদ্যলয়ে শিক্ষক শূন্যতা রয়েছে, আগামী নিয়োগে এই সমস্যা সামাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply