শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন
বরিশাল প্রতিনিধি।। ঝালকাঠীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তসফিলকে স্বাগত জানানোর আনন্দ মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিস্তল, ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলায় ১০ জন আহত হয়, এ সময় ভাঙচুর করা হয় বহরে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল। আহত ৭ জনকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হারুন হাওলাদার, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সাগর, জেলা যুবলীগের সদস্য নয়ন দাস ও রবিউল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহবায়ক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফ, ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহামুদসহ তাদের সহযোগীরা এই হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ডাক্তারপট্টি থেকে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন আহত হাদিসুর রহমান মিলন। র্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পোস্ট অফিস সড়ক অতিক্রমকালে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। ২০ থেকে ২৫ জনের একটি গ্রুপ পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা উচিয়ে এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমেই মিলনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের সাথে থাকা সহযোগিরাও র্যালিতে অংশ নেয়া সকলকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করে। র্যালি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে সম্প্রতি ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। হাদিসুর রহমান মিলন কেন্দ্র থেকে পাল্টা কমিটি গঠন করে। এ নিয়ে মিলন ও অভিযুক্তদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠির সদর থানার ওসি নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, আমরা শহরের একটা মারামারির ঘটনা শুনেছি। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply