শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, আমাদের সরকার যখন দেশ থেকে মাদক নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে বিএনপি এই মাদক বিরোধী যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ওনাদের অর্জন ছিল দুর্নীতি। বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করা। খাম্বা তৈরি করে বিদ্যুত না দেয়া। পেট্রোল দিয়ে মানুষ খুন করা। তারা যানবাহনের ৯২ জন ড্রাইভার, ১৭ জন পুলিশসহ শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে আপনারা ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবেন না। কারণ আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করেছেন।
পদ্মা সেতুতে উঠতে নিষেধ করেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন। তখন ড. ইউনুসসহ বিএনপি চক্র এ সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছেন। ষড়যন্ত্র করেছেন সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দরের পাঁচতলা নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন ও পায়রা বন্দর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১৮-৩৫ বছরের সদস্যদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানে কর্মদক্ষতার উন্নয়নে শুরু করা তিনটি ক্যাটাগরির প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পরবর্তী এক সমাবেশে এসব বলেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মাহবুবুর রহমান এমপি, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মো: মাছুমুর রহমান। সভাপতির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুস সামাদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, বিএন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মঈনুল ইসলাম। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় নির্মিত প্রশসনিক ভবনটির প্রত্যেক ফ্লোরের আয়তন ৫৮০০ বর্গফুট। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১৫০ জনকে প্রথম পর্যায়ে কম্পিউটার বেসিক, রাজমিস্থ্রি এবং ড্রাইভিং তিনটি কোর্সের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তিন মাস ব্যাপী এই প্রশিক্ষণার্থীরা দৈনিক ৩০০ টাকার ভাতা পাবেন। পাবেন নাস্তার সুবিধা। পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৩৫০০ জনকে ৩৫টি ক্যাটাগরিতে প্রায় তিন বছর এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
Leave a Reply