শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে সারাদিনে কোথায়ও সূর্যের দেখামেলেনি সারাদিন ছিলো কুয়াশায় ঢাকা। তীব্র শীতের মধ্যে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি পরছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এরপরে সাড়ে ১১টার দিকে মুশলধরে বৃষ্টি পরতে থাকে থেমে থেমে সারাদিন ছিলো বৃষ্টি। এর ফলে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীত আর বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
আকাশ মেঘলা সারাদিনে সূর্যের দেখা নেই।ঘনকুয়াশা হওয়ায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ঝালকাঠিতে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীতে মানুষজন কাবু হয়ে পরেছে। বেশি সমস্যায় শিশু ও বয়স্ক মানুষ। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমেগেছে। অনেক জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে মানুষজন কে শীত নিবারন করতে গেছে।
অটোরিকশা চালক মিজান বলেন, বাড়ি থেকে সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হইছি তারপর হঠাৎ দেখি বৃষ্টি পরে আর বাতাস এরপর বাড়িতে চলে গেছি। বিকেলে বের হইছি অনেক শীত তার উপর আবার বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় মানুষের চলাচল খুব কম। রাস্তায় যাত্রী না থাকায় আজ সারাদিনে ৩০০টাকাও আয় করতে পারি নাই। জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর মো. বেলায়েত মোল্লা বলেন, আজ সকাল থেকে ঘনকুয়াশা, সারাদিন মেঘলা বৃষ্টি পরে বাতাস হয় এতে মানুষ কাজ করতে পারে না। আর কেউ কাজে ডাকেও না। বর্তমানে বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে এরকম চলতে থাকলে যারা আমাগো মতো দিনমজুর তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হবে। না খেয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় আজ বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকালও কিছু স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ভোলায় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Leave a Reply