মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র হানায় ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক তার ও খুটি মেরামত শেষে ৩২ ঘন্টা পর চালু হলো ঝালকাঠি শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রবল বাতাসে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মেইন গ্রীড থেকে আসা ৩৩ হাজার ভোল্ট সংযোগের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে ৩২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলো ঝালকাঠি শহর।ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে ব্যহত হচ্ছে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। বিদ্যুৎ না থাকায় পৌর শহরে পানি সরবরাহও ছিলো বন্ধ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলো বাসিন্দারা।
জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা শহর এলাকায় শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ চালু থাকলেও ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি সদর এবং জেলার চার উপজেলার কোনো ইউনিয়নে দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না। তবে ৩২ ঘন্টা পর জেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে এখনো ২-৩ দিন লাগতে পারে।
এতে চরম বিপাকে পড়েছে নলছিটি উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২ লাখ সাধারণ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় মিধিলা অতিক্রম করলেও শনিবার বিকেলে পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল হয়নি। বন্ধ রয়েছে কল কারখানা ওঅধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোমবাতি জ্বালিয়ে কোন রকম জীবনের যাপন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেসরকারি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার গুলোতে জেনারেটর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে ইন্টারনেট ও চলে যায়।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড এর ঝালকাঠি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বরিশাল শহরতলির জাগুয়া এলাকায় জাতীয় গ্রিডের ৩৩ কেভির সঞ্চালন লাইনে বড় বড় পাঁচটি গাছ পড়েছিলো। সাড়াদিন সাড়ারাত গাছ অপসারন শেষে ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন স্থানে তারের উপর পরে থাকা গাছ কাটা হয়। শনিবার বিকেল ৫ টায় বিদুৎ লাইন চালু করা হয়।
ঝালকাঠির ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে পুরো শহরসহ জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো। সংযোগ–মেরামত শেষে শনিনার বিকেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
Leave a Reply