সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনসহ তিন মাসে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০১ জন রোগী মারা গেছেন। এতো রোগীর মৃত্যুর জন্য করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসাহীনতাকে দায়ী করেছেন মৃতদের স্বজনরা। তাদের দাবী, করোনা ওয়ার্ডে নামমাত্র চিকিৎসা হয়। ডাক্তাররা রোগীর কাছেই যান না। কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও ডাক্তার ডেকে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ফেলে রাখা হয় অক্সিজেন এবং আইসিইউ সেবা ছাড়াই।
ডাক্তারদের তদারকীর অভাবে একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে বলে দাবি ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের স্বজনদের। তবে ভূক্তভোগীদের এই দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ যেসব রোগী এখানে আসেন, তারা মুমূর্ষ অবস্থায় আসেন। তাদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। তবে তাদের অবস্থা খুব খারাপ থাকায় তারা মারা গেছেন।
করোনা ওয়ার্ড তত্ত্বাবধায়ককারী হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এস এম মনিরুজ্জামান জানান, গত ১৭ মার্চ থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিক্যালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৬৮৫ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ২৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মৃত ১০১ জন রোগীর মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পজিটিভ ছিলো।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৯ মার্চ প্রথম এক রোগীর মৃত্যু হয়। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত গত ৩ মাসে ১০১ জন রোগীর মৃত্যু হলো।
এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬৬ জন। এর মধ্যে ১৮৫ জনের করোনা পজিটিভ ছিলো।
এদিকে শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে রোগীর স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের অভিযোগ থাকতে পারে। তবে আমরা সল্প জনবল নিয়ে যথাসাধ্য রোগীদের সেবা করে যাচ্ছি। শুধু শেবাচিম হাসপাতালেই নয়, গোটা জেলাজুড়ে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এই সংকট নিয়েও আমারা বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ডিউটির জন্য চিকিৎসক প্রেরণ করেছি। তবুও সংকট রয়ে গেছে।
Leave a Reply