সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে পিরোজপুরে দুই ব্যবসায়ীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে একজন ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যু হয়। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া চিকিৎসা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়ি ভাণ্ডারিয়ায় আসা বন্দরের কাঁচামাল বিক্রেতা আ. বারেক হাওলাদার (৭০) মারা গেছেন।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ইন্দুরকানী উপজেলার আব্দুল গণি নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, কোভিড-১৯ উপসর্গ জ্বর ও সর্দি আক্রান্ত হয়ে গৌতম মণ্ডল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
করোনা উপসর্গ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরিবারের স্বজনরা বরিশাল নেয়ার প্রস্তুতিকালে দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মৃত কাঁচামাল ব্যবসায়ী আ. বারেক হাওলাদার করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সপ্তাহ আগে বরিশালের রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে শেবাচিমে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়।
ভর্তির পর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ওয়ার্ডে দেয়ার পর আ. বারেক পালিয়ে বাড়িতে চলে আসার পর রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মেডিকেল টিম মৃতের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে মেডিকেল টিমের সদস্যরা লাশ গোসল ও জানাযা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন।
মৃত আব্দুল গনি ইন্দুরকানী গ্রামের আকসের আলী শেখের ছেলে। গৌতম মন্ডল ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া গ্রামের সুধির চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে ও আ. বারেক একই উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের আ. গনি হাওলাদারের ছেলে।
Leave a Reply