রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠিতে এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন কৃষকরা। ক্ষেতজুড়ে চলছে পাকা বাঙ্গি তোলার উৎসব। যেদিকেই চোখ যায়- সবুজ ক্ষেতে হলদে বাঙ্গির সমারোহ।
বাম্পার ফলন হওয়ায় বাঙ্গি চাষিদের চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে খুশির ঝিলিক। আবার ন্যায্য দাম না পাওয়ার আশঙ্কায় কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাজ।
রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের বাঙ্গি চাষি হারুন সিকদার বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এ বছর বাঙ্গি চাষ করেছিলাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং পোকার উপদ্রব কম থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। আশা করেছিলাম লাভের মুখ দেখব, কিন্তু বাজারে ন্যায্য দাম পাবো কিনা জানি না। দাম না পেলে ঋণই শোধ করতে পারব না। পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বাজারগুলোতে মৌসুমের শুরুতে বাঙ্গির দাম ভালো ছিল। দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে গেছে ২৫-৪০ টাকা। মৌসুমের শুরুতে প্রতিটি বাঙ্গি বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা। এখন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। এ কারণে শঙ্কিত জেলার বাঙ্গি চাষিরা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো চৈত্র ও বৈশাখ মাস বাঙ্গি তোলা ও বিক্রির মৌসুম। যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাঙ্গি বেচাকেনা কম হচ্ছে। এ কারণে চাষিরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ফজলুল হক বলেন, বাঙ্গির বাম্পার ফলন দেখে মন জুড়িয়ে যায়। চাষিদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত। তারা একটু পরিশ্রমী হলে বহুমুখী ফসল উৎপাদন করে আরো বেশি সফল হতে পারেন।
Leave a Reply