শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট থেকে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নয়ারাস্থা মধিপুরের ট্রলার ঘাট না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ ট্রলার মাঝিদের। তাই জোড়াতালি দিয়ে মাঝিদের নিজ খরচে ও স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায়ই কাঠের ঘাট তৈরী করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও এখানে পাকা ট্রলার ঘাট নির্মান না করায় প্রতিদিন শতশত যাত্রীদের ট্রলারে উঠতে নামতে হয়রানী হতে হচ্ছে। কারন নদীর পানি জোয়ার ভাটায় উঠানামা করায় যাত্রীদের কাঁদা পানি পেরিয়ে উঠানামা করতে হয়।
প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়া হলেও সুগন্ধা নদীর দুপাড়েই নির্মান করা হয়নি কোন পাঁকা ঘাট বা সিঁড়ি। তাই ইজারাদারসহ সাধারন যাত্রীদের দাবি দ্রুত সুগন্ধা নদীর দুই পাড়ে পাঁকা ঘাট বা সিঁড়ি নির্মান করা হোক।এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার সাইদুল ব্যাপারী জানান, দেশের উন্নয়নে এত কাজ করা হয় শুনছি, কিন্তু আমাদের পৌর খেয়া ঘাটের যাত্রী দূর্ভোগ লাঘবে এখানে কোন পাঁকা ঘাট নির্মান করা হয়নি। এ জন্য আমরা এলাকার শিল্পমন্ত্রী, পৌর মেয়র, পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবার স্বরণাপন্ন হলেও কোন সুফল পাইনি। ইজরাদার আরো জানান, পৌর সভা থেকে প্রতি বছর এ ঘাট মোট প্রায় ২ লাখ টাকায় ডাক নেই।
কিন্তু আজ পর্যন্ত নদীর দুপাড়ে কোন পাকা স্থায়ী ট্রলার ঘাট নির্মান না করায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই শ্রম ও অর্থ দিয়ে
কাঠের তৈরী ঘাট নির্মান করছি। এ ঘাট দিয়ে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের উঠানামা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। এ ঘাটের মাঝি মো. বেলায়েত জানান, ইতিপূর্বে জেলা পরিষদ থেকে একটি ঘটনা নির্মান করা হলেও তা মাটির নীচে দেবে গেছে। তাই আমরা এ ঘাটের ২৪ জন মাঝি প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নিজেরাই শ্রম ও অর্থ দিয়ে এভাবে ঘটালা নির্মান করে দায়সারা ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল সোমবার নদীর ওপাড়ে গিয়ে দেখা যায় মাঝিরা নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে নদীতে ঘটলা নির্মান করছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, এই ঘটলা দুটি নির্মানের বিষয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। বিশেষ করে যাত্রীদের দূর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই ঘটলার প্রাক্কলণ তৈরী করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই দুপাড়ে ঘটলা নির্মান করা হবে।
Leave a Reply