গভীর রাতে সড়কে মারমুখো এরা কারা? Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




গভীর রাতে সড়কে মারমুখো এরা কারা?

গভীর রাতে সড়কে মারমুখো এরা কারা?




নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিকাল পাঁচটার দিকে আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা উঠে গেলেও কেউ কেউ রাজধানীর অলিগলিতে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে রাখে। তবে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী কি না সে নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তারা নীরব।

আবার এই তরুণরা বেশ মারমুখী। তাদেরকে প্রশ্ন করতে গেলেই উত্তেজিত হয়ে উঠছে। ছবি তোলার চেষ্টা করলে তো রক্ষাই নেই।

রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোড, তাজমহল রোডসহ বেশ কয়েক জায়গায় বেশ কিছু তরুণকে দেখা যায়। রাস্তায় লাঠি নিয়ে কোন পথে যেতে হবে কোন পথে যাওয়া যাবে না সেই নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।

অনেককে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। শুধু তরুণ যুবকরা না তরুণীরাও সেখানে আছে।

ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্টমন্ত্রী ঘোষণা দেবার পরও কেন রাস্তায় আছেন এসময় তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন জানতে চাইলে বলেন, ‘উত্তরা ইউনির্ভাসিটির ছাত্র আমি।’

হঠাৎ তিন চারজন রাস্তার টোকাই এসে বলেন, ‘কি ভাই এতো কথা কন কেন? রাস্তার ডান পাশ ছাড়েন বাম পাশ দিয়ে যান। এসময় তার সাথে আরও কয়েকজন এসে বলেন এতো প্রশ্ন করেন না যান।’

হিমেল নামে এক জন সাংবাদিক ফেসবুকে লেখেন, ‘এখন রাত এগারোটা। মগবাজার মোড়ে পায়জামা পাঞ্জারি পরা কেউবা লুঙ্গিপড়া কয়েকজন ঝামেলা করছে। আমাকে ছবি নিতে দেয়নি। এরা কারা? পুলিশ কই?’

নাইম নামে আরেক সাংবাদিক জানান, ‘৮-১০ জন ছেলে বাইক নিয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসে তিনটা কার একটা অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে দাঁড় করে রেখেছে।’

রাত ১১টার দিকে ইকরামুল হক নামে একজন ফেসবুকে স্টাটাস দেন. ‘মালিবাগে কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ বাস ভাঙচুর। রাত ১১ টায় ছাত্ররা রাস্তায় থাকার কথা না।’

নাম প্রকাশ না শর্তে মোহাম্মপুর এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেসব স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী সারা দিন আন্দোলন করছিল তারা বাড়ি ফিরে গেছে। তারা কেউ এতো রাতে রাস্তায় নেই। যারা আছে হয় তারা কোন কিছুকে পুঁজি করে এখানে এসব করছে। পুলিশ কিছু বলতে পারছে না কারণ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানার লাগিয়ে এগুলো করেছে।’

ধানমন্ডি জোনের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এই বিষয় জানার পর তিনি বেশ কয়েকজন অফিসারকে নির্দেশ দিলেন বিষয়টি দেখার জন্য। কিন্তু কেউ ঝুঁকি নিয়ে সেখানে গেলেন না। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে অধস্তনরা বলেন, ‘স্যার, সেখানে গিয়ে ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শতাধিক বাস ভাঙচুর করে ছাত্ররা। আর পরদিন থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বন্ধ করে দেয় যান চলাচল।

তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেয়া হলেও বুধবার থেকে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার বিষয়টিই বেশি আলোচনা হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আবার একটি জিপ গাড়ি চার পাশ থেকে ঘিরে ধরে ভাঙা হয়েছে। আবার একজন পুলিশ কর্মকর্তা লাইসেন্স দেখাতে রাজি হননি বলে তার মোটর সাইকেল পুড়িয়েও দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যেই সেই দুর্ঘটনায় নিহত দুই জনের বাবা মা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসে শিক্ষার্থীদেরকে সড়ক থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করেছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্তর্ঘাত হতে পারে। ছাত্রদল ও শিবিরের ছেলেরাও এই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।সুত্র,ঢাকাটাইমস

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD