দুদকের জালে আটকা পড়লেন অডিট অফিসার Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




দুদকের জালে আটকা পড়লেন অডিট অফিসার

দুদকের জালে আটকা পড়লেন অডিট অফিসার




অনলাইন ডেস্ক :পূর্ত অডিট অধিদফতরের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় শামসুল হকের বিরুদ্ধে ঝালকাঠির ৬টি সড়কের কাজ নিরীক্ষায় কারচুপি করার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সড়কের সব কাজ ঠিক থাকার পরও নিরীক্ষা শেষে তিনি স্ট্যাম্প কেনার তারিখে ৫-এর আগে ২ বসিয়ে ২৫ এবং ৭ আগে ২ বসিয়ে ২৭ তারিখ করে পূর্ত অডিট অধিদফতারের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।

দুদকে অনুসন্ধানে জানতে পারে, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কারচুপির মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্ট্যাম্প কেনার তারিখ পরিবর্তন করেন শামসুল হক। তারিখ পরিবর্তনের কাজটি নিজে করে ছয়টি সড়ক মেরামতে সরকারের ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন। এই মনগড়া ও মিথ্যা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা এবং ১৯৭৪ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শামসুল হক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদক জানায়। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শামসুল হক সিজিএ ভবনের ইম্পিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাভালিউশন ডিভিশন (আইএমইডি)- এর প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এ অনিয়মের অনুসন্ধান করেন বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী। তার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগাধীন ৬টি সড়ক মেরামত কাজ গ্রহণ করা হয়। ছয়টি মেরামত কাজ সর্বনিম্ন দরদাতাকে দেওয়া হয়। কাজ শেষে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়। সঠিক নিয়মে কাজ সম্পন্ন করা এবং কাজের পরিমাপ যথাসময়ে গ্রহণ করে চলতি ও চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়।

এই ছয়টি কাজের নিরীক্ষা করার জন্য পূর্ত অডিট অধিদফতর থেকে মো. শামসুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম ঝালকাঠিতে আসে। নিরীক্ষা দলের টিম লিডার শামসুল হক নিজেই ৬টি কাজের নিরীক্ষা করেন। নিরীক্ষা করার সময় তিনি স্ট্যাম্প কেনার তারিখে ৫-এর আগে ২ বসিয়ে ২৫ এবং ৭-এর আগে ২ বসিয়ে ২৭ তারিখ বানিয়ে নিরীক্ষা শেষে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় ফিরে ছয়টি কাজের বিপরীতে অবাস্তব স্ট্যাম্প ক্রয় ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর এবং অবাস্তব কাজ দেখিয়ে সরকারের ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ টাকার আর্থিক ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে স্বাক্ষরবিহীন নিরীক্ষা প্রতিবেদন পূর্ত অডিট অধিদফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে দাখিল করেন।

এ প্রসঙ্গে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘শামসুল হকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD