শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:টাঙ্গাইল থেকে পরিচালিত সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ (পূর্ববর্তী কোচিং সেন্টার নামে পরিচিত) সিরাজগঞ্জ শাখার শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান হীরা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে বনবাড়িয়া গ্রামের ফার্নিচার ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলামের ছেলে ।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভিকটিমকে দুপুরের পর শহরের বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছাত্রটি।
সিরাজগঞ্জ আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির কোমড়ে আগে থেকে হাড়ের সমস্যা রয়েছে। শিক্ষকের উপর্যোপরি কিল-ঘুষির আঘাত সহ্য করতে না পেরে ঘটনার সময় সে মুর্ছা যায়। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হলেও মারপীটের সময় সে ভীষণ ভয় পাওয়ায় তার উপযুক্ত মানসিক কাউন্সিলিং প্রয়োজন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টিচারের দেওয়া হোম ওয়ার্ক বাড়ি থেকে ঠিকমত করে না আসার অপরাধে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রেণিকক্ষের অন্যান্য সহপাঠির সামনে বদমেজাজী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম নাহিদকে বেধড়ক কিলঘুষি মারে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে আমরা এসে দেখি সে হাসপাতালে ভর্তি।
অসুস্থ্য শিক্ষার্থী নাহিদ বলেন, স্যার প্রায়ই আমাদের মারপীট করেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্যারের মেজাজ আগে থেকে বেশ খারাপ ছিল। সামান্য কথাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও মোস্তাকিনসহ আরো ৩ জনকে একই কায়দায় মারপীট করেন। আঘাত সহ্য করতে না পেরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের মুজিব সড়কে ভাড়ার ব্লিডিং-এ অস্থায়ীভাবে টাঙ্গাইল থেকে পরিচালিত সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ শাখায় মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
তবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এস.এম.গোলাম কিবরিয়া শিক্ষার্থীর স্বজন ও স্থানীয়দের সামনে বলেন, বিষয়টি আমি ও অন্যান্য শিক্ষকগনও জেনেছি। আমরাই ধরাধরি করে ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ছেলেটির বাবা-মা আমাকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকও তার ভুল বুঝতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফীউল্লাহ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply