এইচ এম হেলাল॥  বরিশাল নগরীর রুপাতলীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী।ইভটিজিং,জুনিয়ার সিনিয়রকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে ওই বাহিনীর সদস্যরা ।ফলে ওই এলাকার বসবাসরত সাধারন মানুষের মনে ভিতকর পরিস্তিতি সৃষ্ঠি হচ্ছে। সুত্র অনুযায়ী জানা যায়,গত কাল বিকাল পাঁচটায় রুপাতলী হাউজিং এলাকায় জুয়েল বাহিনী সদস্য অনিমের সাথে একই এলাকার লিমন,জুম্মান ও তাজের সাথে জুনিয়ার-সিনিয়র নিয়ে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।এসময় অনিম তার গুরুপের কয়েক জনকে সাথে নিয়ে লিমনকে মারধর করে ।পরে লিমনের বিষয়টি স্থানিয় সিনিয়রদের মাঝে পৈছালে অনিমের শেল্টারদাতা কিশোর সন্ত্রাসী জুয়েল দেশীও ধারালো অস্ত্রসহ তার ৫০/৬০ জন সদস্য এক জাগায় মিলিত হয় ।

পরবর্তী রাত সাড়ে আটর দিকে ওই বাহিনী নিয়ে রুপাতলীর মালাওনা ভাসানী সড়কের বাসিন্দা মানিক সিকদারের ছেলে জুম্মানকে খুজতে যায়।কিন্তু তাকে না পেয়ে তার বসতঘরে হামলাও ভাংচুর চালায় ।এসময় তাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশে বসবাসরত সাধারন মানুষের ভিতরে আতংক বিরাজ করে ।পরিস্তিতি ভয়াভয় দিকে ধাপিত হতে থাকলে স্থানীয় এক ব্যাক্তির ফোনে কোতায়ালী থানা থেকে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনা পৈছালে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসে ।

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পায় জুম্মান ও তার পরিবার।সুত্রটি জানিয়েছে,আছলত খান সড়কের বাসিন্দা ইসমাইল খাঁ’র ছেলে জুয়েল।জুয়েল’র রয়েছে একটি দা বাহিনী,স্থানীয় উঠতি বয়সী প্রায় শতাধিক যুবক এ বাহিনীর সাথে যুক্ত রয়েছে।

বিভিন্ন স্কুলগামী ছাত্রীদের অশ্লিণ আচারন,ছোট খাটো চায়ের দোকান থেকে খাবার খেয়ে টাকা না দেয়া, মাদক ব্যাবসাসহ ছোট খাটো অপরাধের সাথে জরিত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।স্থানীয় এক প্রভাবশালী আশ্রয় থাকায় ওই বাহিনীর অপর্কমের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। সাধারন মানুষদের মতে ,এদের নিয়ন্ত্রন করা খুব জরুরী হয়ে পরেছে, তা না হলে কোন একসময় হতাহতের মত ভয়ংঙ্গর ঘটনা ঘটতে পারে। এই পরিস্তিতি যাতে সৃষ্টি না হতে পারে সে জন্য আইন শৃখংলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।