শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাসনে রোগীর স্বজনকে কক্ষে আটক করে মারধরের পর উল্টো পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে হোসাইন শাওন নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ১০৪ নম্বর কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার যুবক জাকির হোসেন জানান, সকালে তিনি জ¦রে আক্রান্ত তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চরফ্যাসন হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আসেন। ওই সময় জরুরী বিভাগের কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী তাসপিয়া মুন। জরুরী বিভাগ থেকে ভর্তি স্লিপ নিয়ে জরুরী বিভাগের ১০৪ নম্বর কক্ষে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তাসপিয়া মুন রোগী না দেখেই কয়েকটি পরিক্ষা লিখে দেন।
তিনি আগে তার বৃদ্ধ মাকে চিকিৎসক তাসপিয়া মুনকে দেখতে বললে তিনি রাগান্মিত হয়ে যান। এবং পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া রোগী দেখতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেন। এনিয়ে চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসপিয়া মুনের সাথে তার তর্ক বাধে। পরক্ষনে তিনি ওই কক্ষ থেকে বেড়িয়ে জরুরী বিভাগে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষন পরে ফের তাকে ওই কক্ষে ডেকে দেন চিকিৎসক হোসাইন শাওন।
কক্ষে যাওয়ার পরপরই কিছু বুঝে উঠার আগে চিকিৎসক হোসাইন শাওনসহ আরোও কয়েকজন ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দালাল চক্র তাকে এলোপাতারী মারধর শুরু করেন। তাদের মারধরের তিনি অসুস্থ হয়ে পারলে ক্ষান্ত হননি ওই চিকিৎসকসহ তার পালিত দাললারা। কিছুক্ষন পরে কক্ষে আটক রেখে মারধরের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করে দেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক হোসাইন শাওন জানান, কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
তার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তোলা হয়েছে। চরফ্যাসন হাসপাতালের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শোভন বসাক জানান, খবর শুনে তিনি জরুরী বিভাগে পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে কাউকে পাননি। চরফ্যাসন থানার ওসি মোহা. মোরাদ হোসেন জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সমোঝতার পরে ওই যুবকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply