সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে শালুকা গ্রামে শালুকা দারুসুন্নাহ রশিদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মোঃ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি বানানো সহ মাদ্রাসার বাৎসরিক আয়ের টাকা দিয়ে ৩ তলা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাজাহান হাওলাদার ১৯৯৫ সালে নিজ উদ্যোগে অনেক কষ্ট করে মাদ্রাসাটি দাড় করান। এবং তার আপন বোনের ছেলে মোঃ মুশফিকুর রহমান কবির এর কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি উক্ত মাদ্রাসায় দান করেন।
কিন্তু জানা যায় মাদ্রাসার আগের কমিটি গুলোতে দাতা সদস্য মোঃ মুশফিকুর রহমান কবির হোসেন ঠিক থাকলেও বর্তমানে মাওঃ মোঃ আজিজুর রহমানের পিতাকে দাতা সদস্য হিসাবে কাগজ কলমে বানানো হয়েছে। কিন্তু তার কোন দান উক্ত মাদ্রাসায় নাই বলে যানা যায়।
তাছাড়া অবিভাবক সদস্য হিসাবে যাদেরকে মনোনয়ন দেখানো হয়েছে। তাও যানেনা অনেক অবিভাবকরা, এমনকি উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ও জানেনা। নাম না প্রকাশ করার সর্তে অনেক শিক্ষরা বলেন আমাদের সুপার যা দিয়ে যা করে, আমাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেনা।
তার সেচ্ছাচারিতায় আমরা অতিষ্ট, কিন্তু কিছুই বলতে পারিনা তাদের বাড়ির সামনে মাদ্রাসা যেমনে চালায় তেমনে চলে।ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন ২০০৪ সালে মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হওয়ার পর থেকে মাওঃ আজিজুর রহমানের আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নাই।
মাদ্রাসার আয়-ব্যয় তালমাতাল হিসাব ৪ টাকা খরচ হইলে ৮ টাকার ভাউচার দিয়ে বর্তমানে বিশাল অট্টালিকার মালিক। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টাইলস দিয়ে ৩ তলা বাড়ির কাজ হাতে নিয়েছে।
এজন্য পকেট কমিটি মাদ্রাসা সুপারের অনেক প্রয়োজন। উক্ত বিষয়ে সুপারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন নতুন মাদ্রাসা তো ভাই! আমাদের অনেক অনিয়োম থাকতে পারে তার কাছ থেকে দাতা সদস্য কে এবং কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করেন।
মাদ্রাসার বাৎসরিক আয় এবং ব্যয়ের হিসাবের কথা জানতে চাইলে, কোন সদ্ব উত্তর দিতে পারেনি। ২৬/০৯/১৯ ইং তারিখে ম্যানিজিং কমিটি নির্বাচনের কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত দাতা সদস্য এবং অবিভাবক সদস্য কাকে নেওয়া হয়েছে এবং মনোনয়ন পত্র কয়টা বিক্রি হয়েছে, তারও কোন স্বদ উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায়।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে মুঠো ফোনে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা দেখবো। উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি।
তবে আমি বিষয়টি দেখবো। এনিয়ে সুশীল সমাজের ভিতরে খোভের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত অনিয়মের প্রতি সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকা বাসি।
Leave a Reply