রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট এলাকার পূর্ব কাদিরাবাদ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম আক্তার (১৪) এর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩ আগস্ট) বেলা বারো টায় উপজেলার জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপূর্বে অর্থাৎ ২৮ জুলাই ১১ নং পূর্ব কাদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাংগা কাদিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মরিয়ম হত্যার বিচারের দাবিতে পৃথক মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয়। পর্যায়ক্রমে পার্শ্ববর্তী একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ নিয়ে ৫ম দফায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন বক্তব্য দেন- জয় নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, পূর্ব কাদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, দক্ষিণ ঘোড়াবাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ মো. রুস্তম আলী, কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলামিন সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সহ স্কুল কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, স্কুল পথে আসা যাওয়া করা ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ নয় এবং মরিয়ম হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির না দিলে দেশে এ অপরাধ বেড়েই চলবে। এ ঘটনার পর অনেক ছাত্রী স্কুল আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ- অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই মেয়েদের সাথে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। যে দিন অভিভাবকরা ছাত্রীদের সাথে আসে না। সেই দিন অনেক ছাত্রী স্কুলে আসে না। প্রতি বক্তব্যের শেষে শিক্ষর্থীরা “মরিয়ম হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেয়”।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া মরিয়ম আক্তার পূর্ব কাদিরাবাদ গ্রামের মো: কবির হাওলাদারের মেয়ে। চলতি বছরের গত ৭ জুলাই স্কুলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন ৮ জুলাই কাজিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডাইরি দায়ের করে মরিয়মের বাবা। ২৫ জুলাই স্কুল ও বাড়ির যাতায়াতের রাস্তার পাশে ডোবার মধ্যে মরিয়মের স্কুল ব্যাগ ভেসে উঠে।
পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে মরিয়মের স্কুল ব্যাগ ও পায়ের একটি জুতা সহ শরীরের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করেন। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করেন। ২৬ জুলাই মরিয়মের বাবা আসামি/আসামিদের নাম অজ্ঞাত রেখে কাজির হাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাজির হাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানায়- এখন পর্যন্ত দুই জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশ্যই ঘটনার তদন্তে মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে এবং আসামি/আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply