সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
এইচ এম হেলাল॥ ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হচ্ছে না কাউন্সিলর কালাম মোল্লা।গড়িয়ারপার এলাকার কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী আটক না হওয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। তবে পুলিশের দাবী মামলা দায়েরর পর আসামি কালাম মোল্লা আতœগোপনে থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,অভিযান অব্যাহত রয়েেেছ । এদিকে সুত্রে জানায়, পুলিশের নাকের ডগায় বীরদর্পে ঘুড়ে বেরাচ্ছে ওই দূর্ধষ সন্ত্রাসী,কিন্তু পুলিশের ভাষ্যমতে সে পলাতক রয়েছে।
কে এই কালাম মেল্লা ? বরিশাল বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রবীন আ’লীগ নেতা প্রয়াত জলকাদের মোল্লার ছেলে কালাম হোসেন মোল্লা। দলীয় ভাবে এক সময় জলকাদের মোল্লার বরিশাল জুড়ে ছিলো ব্যাপক নাম ডাক,ক্ষমতাও কম ছিলনা তার।যার এত সুনাম ছিলো,তার আদর্শ আজ ক্ষুন্ন হতে চলছে তারই জন্মদেয়া ছেলে কালাম মোল্লার কার্যকলাপের ক্ষেত্রে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সুত্রটি ।
পিতার নাম ভাঙ্গিয়ে ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যাবহার করে একেরপর এক অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করে আসছে ।চাঁদাবাজী,প্রশাসনের সাথে খারাপ আচরণ,সরকারী কর্মকর্তাদের মারধর,জমি দখল,নারীদের শ্লীলতাহানী,মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয়ার মত এসব অপরাধের সাথে জরিত রয়েছে কালাম মোল্লা।
সুত্র অনুযাযী জানা যায়, চাঁদাবাজীর ভাগবাটোয়ারা না পেয়ে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পুলিশের সামনে বরিশাল বিভাগীয় ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ছিল।এতে সংগঠনটির সাধারন সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়ে ছিলেন।এ ছাড়াও একই বছরে একটি শালিস বৈঠক চলাকালিন সময় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের এক কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়া হয়।এদিকে সেই ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ১ জুন সংশ্লিষ্ট থানায় কালাম মোল্লার বিরুদ্ধে একটি নোট দায়ের করেন।তবে অপরাধ করলেও তার লাগাম টেনে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ফলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে ।পুরো কাশিপুর তথা তার আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন বাহিনী গড়ে তোলে অপরাধের স্বর্গরাজ্য।তার এই অপরাধ বিষয় প্রশাসনের জানা থাকলেও কখনো নেয়া হয়নি আইনি ব্যবস্থা। অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে একক ভাবে আধিপত্যবিস্তার করতে থাকেন কালাম মোল্লা।এক সময় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি।পুরনো নেশা ভুলতে পারিনি সে।
সব শেষ অবৈধ ভাবে প্লান বহিভুর্ত ভবন নির্মান করলে তাতে বাধা দেয়ায় কালাম বিসিসির দুই কর্মকর্তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় চলতি বছরের শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে কালাম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করে বিসিসি।
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে মামলা দায়েরর পর ২৪ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হলেও আসমিকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।স্থানীয় একটি সুত্র জানিয়েছে,গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাশিপুর বিভিন্ন স্থানে বাইকে করে ঘুরতে দেখা যায়।এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার এস আই মোঃ আজমল হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে ,অভিযোগ প্রমানিত হলে আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply