শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় এক বখাটের উৎপাত সইতে না পেরে রুকাইয়া রুপা (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৩০) আগস্ট) রাতে উপজেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুকাইয়া রুপা উপজেলার ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং ভান্ডারিয়া পৌরসভার হোটেল ব্যবসায়ী রুহুল মুন্সির মেয়ে। নিহত রুপা ৪ ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আর বখাটে তামিম ভান্ডারিয়ার মঞ্জু খানের ছেলে।
নিহত রুপার বাবা রুহুল মুন্সি জানান, কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে রুপাকে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত বখাটে তামিম খান। এতে রাজি না হওয়ায় রুপার একটি ছবি এডিট করে তা বিভিন্ন জনের কাছে ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয় তামিম।
শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট শেষে এক সহপাঠীর সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে পুনরায় রুপার পথ আটকে রাখে তামিম এবং তার সঙ্গে প্রেম না করলে এডিট করা ছবিটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর রুপা বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তার মা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ফোনে রুপার বাবাকে জানালে, রাতে বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
ওই দিন রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে তিনি রুপাকে তার ঘরে ডাকতে গেলে রুপার দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও রুপার কোনো সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দড়জা ভেঙে ফেলেন। এ সময় তাকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তার বাবা। রুপা ঘরে থাকা ঘুমের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খেয়ে অচেতন হন।
পরে তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলছাত্রী রুপাকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না করে ডাক্তাররা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাতেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় অভিযুক্ত তামিমকে আটক করেনি পুলিশ। এ নিয়ে রূপার স্কুলের সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
এ বিষয়ে বখাটে তামিমের শাস্তির দাবি করেছেন ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার হালদার। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
Leave a Reply