শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আজকের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেশের জনগণ ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
শুক্রবার (৬ জুন) রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জাতির প্রত্যাশা উপেক্ষিত হয়েছে। ৫০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল চেয়েছিল নির্বাচন ডিসেম্বর কিংবা সর্বোচ্চ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হোক। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলমান সংস্কারের কথা বললেও, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন এ বক্তব্যকে সময়ক্ষেপণের অজুহাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, “এই সরকার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখন সময় টেনে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করছে।”
বক্তব্যে বন্দর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়েও সমালোচনা করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের মতো স্পর্শকাতর অবকাঠামোর বিষয়গুলোতে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। “বিদেশিদের কাছে বন্দর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যেসব যুক্তি দিয়েছেন, তা একতরফা ও অসম্পূর্ণ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতির সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার ছিল।”
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় যেসব প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হচ্ছে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফলভাবে কাজ করেছে এবং কোনো দেশেই জাতীয় স্বার্থ বা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েনি। বিএনপি নেতা এই বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন আত্মবিশ্বাস’ বলে আখ্যায়িত করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচন, বন্দর, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তা ভবিষ্যতে দেশের জন্য অশনি সংকেত হয়ে উঠবে।”
তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, “জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।”
Leave a Reply