শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে ঈদ বাজার ধীরে ধীরে জমে উঠছে। সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস পাবার সাথে সাথে ঈদের বেচাকেনায় আরো গতি আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষকের অবস্থা এবার যথেষ্ঠ নাজুক হওয়ায় ঈদের বাজারেও তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। উপরন্তু এবার ঈদের বাজারে তৈরী পোষাক থেকে শুরু করে মুরগী গোশতসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই গত বছরের চেয়ে ১০ থেকে ২৫% পর্যন্ত বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
অপরদিকে এবার বরিশালের বাজারে তৈরী পোশাক কিনতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ ব্রান্ড শপগুলো। দর্জিবাড়ী, ইজি, ইনফিনিটি, রিচম্যান-লুবনান, ক্যাটস আই, প্লাস পয়েন্টসহ বেশ কিছু ব্রান্ড শপ গত কয়েক বছরে বরিশালের ঈদ বাজারের বড় জায়গা করে নিয়েছে। বাতানকুল পরিবেশে একছাদের নিচে বিভিন্ন দামের ও বাহারি পোশাক থাকায় বেশিরভাগ ক্রেতাই একদামের এসব দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
তবে এবারো মেয়েদের শাড়ি ও থ্রী-পিসসহ বাচ্চদের পোষাকের জন্য নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোড ও চকবাজারেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এছাড়া ফজলুল হক এভিনিউতে হাজী মহসিন মার্কেটে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর ভিড় বাড়ছে। স্টিমার ঘাটের সিটি মার্কেটেও ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। সব মার্কেটগুলো ইতোমধ্যে বাহারি রঙের আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। তবে সে তুলনায় ক্রেতা নেই এখনো।
শহুরে মেয়েদের কাছে এবার ভারতীয় গাউনসহ লেহেঙ্গা ও বেনারসি থ্রি পিসের চাহিদা বেশি। এবার অত্যাধিক গরমের কারণে শাড়ির বাজারে সুতি শাড়ির কদর কিছুটা বেশি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এছাড়া টাঙ্গাইল, জামদানি, বেনারসি ও কাতান শাড়ির চাহিদাও রয়েছে।
Leave a Reply