শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ৬ মে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দেন। যার আগে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ ওঠে শিক্ষক মাইদুলের বিরুদ্বে। অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর কমিটিও তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান।
তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম ও সদস্য শেখ জেবুন্নেছা জানান, তদন্তে নেমে তারা ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন প্রমান পান। যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তারা।
যদিও এনিয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাইদুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে প্রথমে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে পরবর্তীতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন। সেইসাথে তিনি চার দিনের ছুটিতে আছেন বলে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলেন।
আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ওই শিক্ষককে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয়েছে, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মো. মাইদুল ইসলাম কে গত ৮ মে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ মে থেকে সকল কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করা হলো। সেইসাথে ওই নোটিশে বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণকে শিক্ষক মাইদুল ইসলামের সাথে বিদ্যালয় সংক্রান্ত কোন বিষয়ে যোগাযোগ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি (কার্যকরী পরিষদ) এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সালও জানিয়েছেন, শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে বরখাস্ত করেই খ্যান্ত থাকবেন না, দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, চুক্তি ভিত্তিক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও স্কুলে কোচিং করানো নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আর কোচিং করানো নিয়ে এই শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকসহ চুক্তিভিত্তিক অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষমতার জোরে অন্যরা শিক্ষক মাইদুলের ভয়ে তটস্থ থাকতেন।
Leave a Reply