বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ বরিশালে ‘জুলাই বিপ্লব’ ইস্যুতে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা। সাবেক বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান তালুকদারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে বরিশালেরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা এবং কোতোয়ালি থানার ওসির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমানের পরিবার এসব অভিযোগ আনেন। লিখিত বক্তব্যে তার বোন লিপি হাসান বলেন, “আমার ভাই সমাজের একজন পরিচিত মুখ, ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তিনি ও তার সন্তানেরা ছাত্রদের পাশে ছিলেন। সেই কারণেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, মামলার মূল বাদী মারযুক আব্দুল্লাহ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। টাকা না পেয়ে ষড়যন্ত্র করে তার ভাইকে মামলায় আসামি করেন। “মামলার তালিকায় বরিশাল শহরের বহু নিরীহ মানুষ ও বিএনপিপন্থী কর্মীর নাম থাকলেও নেই সেইসব সন্ত্রাসীদের নাম, যারা আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিল,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মারযুকের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে এবং এরই মধ্যে তার সব সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়েছে। “একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থে লোকজনকে হয়রানি করছে তা এখন সবার সামনে পরিষ্কার,” বলেন লিপি হাসান।
ঘটনার দিন দুপুরে মিজানুর রহমানকে থানায় ডেকে নিয়ে সরাসরি গ্রেফতার দেখানো হয় এবং বিস্ফোরক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এ সময় মিজানুর রহমানের পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মামলা বাণিজ্য ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ব্যক্তিদের মুক্তি এবং এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
Leave a Reply