সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :ডিজিটাল প্রচারণায় সাউন্ড সিস্টেম এগিয়ে থাকলেও অলিগলিতে প্রচারণায় এখনো এগিয়ে রয়েছে মাইক। অন্যদিকে এনালগ ছাপাখানায় ভাটা পড়লেও জমজমাট ডিজিটাল ছাপাখানাগুলো। তবে প্রতিযোগিতার যুগে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখিয়ে আছে বরিশালের ছাপাখানার মালিকগণ। অবশ্য ছোট ছোট ছাপাখানার মালিকগণ রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। কেননা নেতাদের খুশি করতে পাতি নেতারা পোস্টার ব্যানার ছাপালেও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিল পরিশোধে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে অনুযায়ী প্রস্তুত বরিশালের ছাপাখানাগুলো। পাশাপাশি মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুত। এখনো কোন প্রার্থীর কাছ থেকে কোন কাজের অর্ডার পায়নি ছাপাখানার মালিকগণ। চাহিদা অনুযায়ী ব্যানার ফেস্টুন তৈরী করতে প্রয়োজনীয় কাগজের সরবরাহ থাকলেও দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন মালিকগন। নির্বাচন এলে প্রতি রিম কাগজে দাম বাড়িয়ে দেয় কাগজ ব্যবসায়ীরা।
নগরীর সদর রোডের নিউ আর্ট প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী খলিলুর রহমান বলেন, কাগজ মজুদ থাকলে পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়না। তিনি বলেন, তার প্রেসে ৪টি এমো মেশিন রয়েছে। যা দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ৩০ হাজার পোস্টার ছাপাতে পারেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীকে খুশি করতে অনেকেই অগ্রীম টাকা নিয়ে পোস্টার ছাপাতে আসেন তাই বাকী হয়না।
নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ সিকদার অফসেট প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী চঞ্চল সিকদার বলেন, নির্বাচন আসলে কাগজের দাম বেড়ে যায়। তিনি বলেন, ছোট ছোট প্রেসগুলোতে অনেক নেতা এসে জোর খাটিয়ে পোস্টার ব্যানার ছাপিয়ে নিলেও মূল্য পরিশোধে গড়িমসি করেন। তিনি বলেন, তার প্রেসে নিজেই মেশিন অপারেট করেন। তার প্রেসে প্রতি ঘন্টায় সাড়ে ৪ হাজার পোস্টার ছাপাতে পারেন তিনি।
এদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো মাইকের চাহিদা আসেনি বলে জানিয়েছেন মাইক ব্যবসায়ীরা। তবে প্রতীক বরাদ্দের পর চাহিদা আসবে বলে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিউ মাইক সার্ভিসের স্বত্ত্বাধিকারী কামাল বলেন, সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মাইকের চাহিদা কম। অবশ্য শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রচারণায় এখনো মাইক ব্যবহার হয় বেশি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply