সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রোববার (১১ মে) দেশের পাঁচ জেলার গ্রামাঞ্চলে হঠাৎ বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটে যাওয়া এসব মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এর মধ্যে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটেছে ১০ জনের, বাকি দুজন নিহত হয়েছেন ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ চাপা পড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নাসিরনগর উপজেলায় আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), মো. শামসুল হুদা (৬৫), শিশু জাকিয়া (৭) বজ্রপাতে মারা যান এবং হামিদা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হন। আখাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত হন কৃষক সেলিম মিয়া (৬০) ও যুবক জাকির খাঁ (২২)। বজ্রাঘাতে দু’টি গরুও মারা গেছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। নিহতরা হলেন—ফারুক মিয়া (৬০), ফয়সাল মিয়া (২৮) এবং কলেজ শিক্ষার্থী কবির হোসেন (১৭)। তারা সবাই বজ্রপাতের সময় মাঠে কাজ করছিলেন।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন কৃষি শ্রমিক খবির উদ্দিন (৪৫)। একই ঘটনায় আহত হন সকুল (২০) নামে এক শ্রমিক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন আব্দুল কাইয়ুম (৫৫)। তিনি ধান কাটার সময় মাঠেই বজ্রাঘাতে জ্ঞান হারান এবং পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—সজীব (২৩) ও সুরুজ মিয়া (৬০)। তারা ঝড়ের সময় গাছের নিচে ছিলেন বা পাশে অবস্থান করছিলেন। গাছ উপড়ে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং সচেতনতার অভাবই এমন প্রাণহানির কারণ। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রশাসনিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় খোলা মাঠ ও উন্মুক্ত জায়গা এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য সকলকে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply