সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কে হচ্ছেন পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) নয়া ভিসি, এ নিয়ে যেন জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। টানা চার বছর দায়িত্ব পালনের পর গত ৪ জানুয়ারি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ তার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
শূন্যপদে পরবর্তী উপাচার্য নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে পবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ ডিন হিসেবে অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৬ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পেয়ে সেই থেকে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রায় চার বছর ধরে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ভিসির সম্ভাব্য একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঞ্জুরি কমিশনের শীর্ষপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক আ.ক.ম মোস্তফা জামান। তিনি শুধু জ্যেষ্ঠই নন, তার কাজের দক্ষতা, সততার কারণে প্রশাসনিকভাবে তাকেই ভিসি হিসেবে নিয়োগের জন্য অভ্যন্তরীণ একটি সভায় সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগও হতে পারে বলে মঞ্জুরি কমিশনের সূত্রটি জানিয়েছে।
ক্যাম্পাসে খোঁজ নিয়েও আ.ক.ম মোস্তফা জামানের ব্যাপারে পজিটিভ তথ্য মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট কিংবা ভালো কাজে ঘুরেফিরে সাবেক ভিসিরা মোস্তফা জামানকেই সামনের সারিতে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে মোস্তফা জামানকে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এতে করে ক্যাম্পাসে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি হাতে গোনা কিছু শিক্ষক ভেতরে ভেতরে তার কাজের বিরোধিতা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভুয়া আইডি খুলে তার নামে অপপ্রচার চালিয়েছে একটি পক্ষ। এমন বিরোধীরাও এক বাক্যে শিকার করেছেন, মোস্তফা জামানের মতো দক্ষ আর সৎ ব্যক্তি পবিপ্রবিতে দ্বিতীয়টি নেই।
মঞ্জুরি কমিশনের তালিকায় আরো দুজনের নাম রয়েছে। এদের একজন হচ্ছেন সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। আরেকজন হচ্ছেন অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরী। দুজনই আওয়ামী লীগ ঘরাণার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আবুল কাসেম চৌধুরী শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকায় সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ নাম নেই। তবুও তিনি আবারও ভিসির দায়িত্বের (এক্সটেনশন) জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে ক্যাম্পাসে গুঞ্জন রয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, ভিসি পদে আগ্রহীরা সরকারের বিভিন্ন মহলে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের সান্নিধ্যও নিচ্ছেন। কারো আগ্রহের ভিত্তিতে নয়; প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন ও রাজনৈতিক বিচার বিশ্লেষণে যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনিই হবেন নতুন ভিসি এমনটাই বলছেন অনেকে। নতুন ভিসি পদায়নের অপেক্ষায় এখন অধীর আগ্রহভরে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply