সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ফেনীতে আটপুলিশসহ একদিনে ৭৮ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনা হানা দেয়ার পর এটিই সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৯। বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৩৯২টি নমুনা পরীক্ষার ফল এসেছে। এর মধ্যে ৮০ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩১ জন, দাগনভুঞার ২০ জন, সোনাগাজীতে ১২ জন, ছাগলনাইয়ায় ১০ জন, ফুলগাজী ও পরশুরামে ২ জন করে এবং অন্যান্য ১ জন রয়েছেন। এছাড়া আগে শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
দাগনভূঞা উপজেলায় শনাক্ত হওয়া ২০ জনের মধ্যে পৌরসভায় ১১ জন, রামনগর ৪ জন, জায়লস্করে ৩ জন, পূর্বচন্দ্রপুর ও সদর ইউপিতে ১ জন। তাদের মধ্যে চারজনই পুলিশ সদস্য।
সোনাগাজী উপজেলায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার আমিরাবাদ ইউপির সোনাপুরে। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার একজন সোনাগাজী সার্কেলের ওসি, মডেল থানার দুই এসআই, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।
এছাড়া দুইজন মতিগঞ্জ, দুইজন বগাদানা, একজন তুলাতুলী, একজন নবাবপুর ইউপির নাজিরপুর এলাকার বাসিন্দা।
ছাগলনাইয়ায় ১০ জনের মধ্যে দুইজন মটুয়া, বাকিদের বাড়ি পশ্চিম ছাগলনাইয়া, দক্ষিণ কুহুমা, বাংলাবাজার, বাঁশপাড়া, দক্ষিণ সতের, পূর্ব ছাগলনাইয়া, পূর্ব বাথানীয়ায়।
অপর একজন ফুলগাজী থেকে এসে নমুনা দিয়ে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক একজন।
পরশুরাম উপজেলায় দুইজনের বাড়ি পৌরসভার কোলাপাড়া ও চিথলিয়া ইউপিতে। কোলাপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
ফুলগাজী উপজেলায় একজন পুলিশের এসআই। অপরজন দরবারপুর ইউপির বাসিন্দা।গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা ৭৪৯। আজ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে ৩ হাজার ৭৬১ জনের প্রতিবেদন আসে।
হাসপাতালের আইসোলেশনে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন। অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে ১৭ জন। ৮১ জন নতুন সুস্থসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৭৪ জন। মারা গেছেন ১৫ জন।
Leave a Reply