রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটায় করোনা আক্রান্ত এক দোকান মালিক সারাদিন জুতা বিক্রি করেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের কাছে। এতে করে কতোজন যে পাথরঘাটা উপজেলায় সংক্রমণ তা নিয়ে চিন্তিত উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা যায়, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর অনেক ব্যবসায়ী ঈদের পণ্যসামগ্রী কিনতে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের কাছে নয় জনের নাম উল্লেখ করে তাদের কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক করতে আবেদন করেন। বণিক সমিতির নেতারা বলছেন কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক না করায় পাথরঘাটা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।পাথরঘাটা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নামও ছিল। যিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েও দোকানদারি করেছেন।
তিনি আরও জানান, করোনা পজিটিভ আসা দোকান মালিকের থেকে কতজন যে সংক্রমিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। প্রয়োজনে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আবারও পাথরঘাটা শহর লকডাউন চান তিনি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, বণিক সমিতির মাধ্যমে নয় জনের একটি তালিকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হাত পেয়ে সকলের কাছে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে মানতে বলা হয়েছে। তবে তারা কোয়ারেন্টান না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন তা বণিক সমিতি থেকে আমাদের জানানো হয়নি।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির শাহীন জানান, মঙ্গলবার রাতে বরগুনা জেলায় তিনজনের করোনা পহিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে দুজন পাথরঘাটার অপরজন বরগুনার।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার খবরে তিনি আশ্চর্য হয়ে বলেন, এ উপজেলা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, করোনা পজিটিভ আসা পাথরঘাটার দুই রোগীকে আইশোলেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
Leave a Reply