বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক //
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া মোসা. জাহানারা বেগম। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হাসপাতালে তার পরিবর্তে প্রক্সি দিয়ে আসছেন স্বামী। অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে জাহানারা বেগম সপ্তাহে একদিন উপস্থিত হয়ে হাসপাতালের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলেছে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
অপরদিকে জাহানারা বেগমের স্বামী মো. সিদ্দিকুর রহমান স্ত্রীর আয়া পদে প্রক্সি না দিয়ে উল্টো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে টিকিট ক্লার্কের দায়িত্ব পালন করছেন। অবৈধ উপায়ে টিকিট ক্লার্কের দায়িত্ব পালনকালে রোগীদের কাছ থেকে জনপ্রতি তিন টাকার পরিবর্তে পাঁচ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে একাধিক রোগী অভিযোগ করেছেন।
মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০০৫ সালে তার স্ত্রী কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া হিসেবে নিয়োগ পায়। ওই সময় থেকে সে অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে তিনি হাসপাতালে প্রক্সি হিসেবে টিকিট ক্লার্কের দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে রোগীদের তিন টাকার বিনিময়ে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর নিয়ম থাকলেও নেয়া হচ্ছে পাঁচ টাকা। এমন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের জনবল সঙ্কটের কারণে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সুইপারদের বেতন দেয়া হচ্ছে।
তবে শুধু তিনিই নন, টিকিট কাউন্টারে কর্মরত মো. হুমায়ূন কবির, সেলিমসহ নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত সবাই পাঁচ টাকা করে নিচ্ছেন। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার জন্য চিকিৎসকরা অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ভুক্তভোগী এক রোগী মোসা. আয়শা খাতুন জানান, সরকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অনেক ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো প্রকাশ্যে অনিয়ম চলছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, তিন টাকার টিকিটের পরিবর্তে পাঁচ টাকা নেয়ার অনুমতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি কিংবা নেয়ার কোন সুযোগও নেই।
এছাড়া স্ত্রীর চাকরির পরিবর্তে স্বামীর প্রক্সি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখানে যোগদানের আগে থেকেই তিনি প্রক্সিরত। তাই আর কিছু বলিনি।
Leave a Reply