রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ আনসার সদস্যসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে।
এ পর্যন্ত মারা গেছে ২ জন। সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উপজেলার সর্বত্র অবাধে লোকজন চলাফেরা করায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কয়েক লাখ লোক পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে।
ঘনবসতি ও অবাধে বাইরে চলাফেরা করার কারণে লকডাউনের মধ্যে এ উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
প্রথমদিকে এ উপজেলার লোকজন প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চললেও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তার পুরো উল্টো চিত্র। একারণে এ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়।
এদের মধ্যে ৯ জনের রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। বাকি ১৪ জনের রিপোর্ট নেভেটিভ। ৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় কর্মরত ৬ জন আনসার সদস্য, সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার চরলাল এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ও শম্ভুপুরার চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় একজন রয়েছেন । এ নিয়ে সোনারগাঁয়ে সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৩ জনে দাড়িয়েছে।
এদিকে উপজেলার হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের প্রথম করোনা রোগী আবু বকর সিদ্দিক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এতে একটু হলেও আশার আলো দেখছে সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ জন, শম্ভুপুরা ইউনিয়নে ১৪ জন ও কাঁচপুর ও মোগরাপাড়া ইউনিয়নে তিনজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়াও সোনারগাঁও পৌর এলাকায় শনাক্ত হয়েছে ২ জন। মোগরাপাড়া ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নে একজন করে মোট ২ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শম্ভুপুরা ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে। এদুটি ইউনিয়নে মোট ২৭ জনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান কামাল জানান, লকডাউন না মেনে মানুষ অবাধে ঘোরাফেরা করায় সোনারগাঁয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ইতিমধ্যে পুরো সোনারগাঁকে লকডাউনের আওতায় আনতে ও কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আশঙ্কাজনকভাবে সোনারগাঁয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।
Leave a Reply