সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
এইচ,এম হেলাল॥ বরিশাল গণপূর্ত দপ্তরে দীর্ঘ মেয়াদে কর্মরত কর্মকর্তাদের নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।এই অসন্তোষ একদিকে যেমন অন্যান্যা কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে তেমনি অনেক ঠিকাদারের মধ্যেও দেখা দিয়েছে। একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর কর্মরত থাকায় নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর মধ্যে অনেকেই ঠিকাদারী কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা এসোসিয়েশনের সাথে জড়িত থাকায় কর্তৃপক্ষও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না ।
সংশ্লিস্ট সুত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান করেন জোৎ¯œা বিশ^াস। তিন বছর পর নিয়ম মাফিক বদলির কথা থাকলেও অদৃশ্য কারনে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও একই কর্মস্থলে রয়েছেন তিনি। তার এই সাত বছরে একাধীক নির্বাহী প্রকৌশলী বদলী হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তার মতো আরো এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনামিকা বড়াল তিন বছর পার করেছেন। তবে একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর থাকার দৌড়ে এগিয়ে আছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুগও পার করছেন এই কর্মস্থলে। এর ফলে কার্য্য-সহকারী শাহআলমসহ অনেকেই অন্য লাইসেন্সে ঠিকাদারী কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। আর কর্মকর্তারা জরাচ্ছেন নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে। ঠিকাদারদের সাথে গড়ে উঠছে বিশেষ সখ্যতা। তাদের ব্যবহার করে ঠিকাদারাও নানা অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
কাজের অজুহাতে জোৎ¯œা বিশ^াসের মত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর থাকার সুযোগ করে দেয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বদলি হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। ফলে শৃংখলা নষ্ট হচ্ছে এই দপ্তরটির। সম্প্রতি ঠিকাদারী কাজ ও ক্ষমতা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কর্মচারীরা। এর জের ধরে তাদের সংগঠনের অফিসে তালা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সাধারন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করেন, যদি নিয়মতান্ত্রিক বদলি হতো তবে কর্মচারীরা সংগঠনের নামে এধরনের চাকুরী বিধিমালা বর্হিভুত কর্মকান্ডে জরাতে পারতেন না। গণপূর্ত অফিসের একাধীক সুত্র জানিয়েছেন, একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর থাকলে তাদের দিয়ে দাপ্তরিক কাজ আদায় কঠিন হয়ে যায়। কেননা তাদের অনেকের মধ্যে সেচ্ছাচারী মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে এই বিভাগের ভার্বমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করে এই সুত্র।
এধরনের নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা জানান, একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দীর্ঘবছর একই কর্মস্থলে থাকলে ঠিকাদার অথবা সেবা গ্রহিতাদের সাথে সম্পর্ক হতেই পারে। সেটা আমার দপ্তরেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু অনৈতিক কর্মকান্ডও ঘটতে পারে। তিন বছর পর বদলির নিয়ম থাকলেও অভিজ্ঞদের উপর নিরর্ভশীল হওয়ার কারনে কর্তৃপক্ষ চাইলেও অনেক সময় অনেককে বদলি করতে পারেন না। এছাড়া সংগঠনসহ বিভিন্ন তদবীরও নিয়ম মাফিক বদলি না হওয়ার পিছনে একটি কারন। আবার দপ্তরের জনবল সংকটতো রয়েছেই।
তবে বদলীর বিষয়টি তার হাতে নেই দাবী করে বলেন, এটা সংস্থাপন শাখার একজন অতিরক্ত প্রধান প্রকৌশলী দেখেন। প্রতি বছরই তারা একই কর্মস্থলে কর্মরত তিন বছরের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করেন। কিন্তু নানা কারনে চাইলেই তারা বদলী করতে পারেন না।
Leave a Reply