রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে কে. এম. নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার কয়েক ঘণ্টা পরই তার গ্রেপ্তার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মোড় বলে মনে করছেন।
শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা ওই মামলায় কে. এম. নুরুল হুদার পাশাপাশি আরও ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক চার মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একাধিক জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। এতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, শাহ নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলীর নামও রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
কে. এম. নুরুল হুদার আটকের ঘটনায় বিএনপি নেতারা একে “বিচারিক অগ্রগতি” বলে অভিহিত করেছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ ছিল, এই মামলার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হতে পারে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনা দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সূচনা করতে পারে এবং বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ার ওপর দেশজুড়ে নজর থাকবে।
বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন যেমন সরব, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এটিকে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলেও মন্তব্য করছেন।
Leave a Reply