বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে মানবিক ও বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এটি কেবল রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর একটি রূপরেখা। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন স্তরের উপদেষ্টা ও নীতিনির্ধারকরা। সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাজেট প্রণয়নে দুইটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—জনবান্ধবতা ও ব্যবসাবান্ধবতা। সীমিত সম্পদের মধ্যেও জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, “এটি বক্তৃতার ফুলঝুড়ি নয়, বরং বাস্তবমুখী একটি উদ্যোগ। ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে নীতিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং একই সঙ্গে আমরা সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি বাজেট রূপরেখা রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারকদের জন্য পথনির্দেশক হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি নয়, বরং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন।”
অর্থ উপদেষ্টা গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আপনারা সমালোচনা করবেন—এটাই গণতন্ত্র। তবে সমালোচনার পাশাপাশি দেশপ্রেম ও সহানুভূতির দৃষ্টিতে রিপোর্ট করুন। কারণ উন্নয়ন শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সবার।”
বাজেটোত্তর এই আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের উপর যে জোর দেওয়া হয়েছে, তা দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে তারা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সরকার আশা প্রকাশ করেছে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজেট বাস্তবায়ন হবে এবং এর সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাবে।
Leave a Reply