বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি সোহাগকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহাগ ওই মামলার ১ নং আসামি।
মামলা দায়েরের আটদিন পরে ১৯ জুন সোমবার ভোরে বানারীপাড়া থানার এসএম মাসুদ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে সোহাগ এলাকা থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে সুরভী-৭ লঞ্চে বরিশাল এসে টার্মিনালে নামার সাথে সাথেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোহাগকে বানারীপাড়া থানা থেকে ওই দিন বিকেলে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামি মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে (৩৮) গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে ওসি মাসুদ আলম চৌধুরী জানান।

গত ১১ জুন রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী রুবিনা আকতার ছবি বাসায় একা থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাশর্^বর্তী বাড়ির স্কুলপড়ুয়া এক মেয়েকে তার সাথে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করে। মায়ের সম্মতিতে ছবির অনুরোধে তার ঘরে ঘুমাতে গেলে রাত ১২টার দিকে ছবি ওই ছাত্রীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ ও সায়েদ মোল্লার ছেলে মেহেদীর হাতে তুলে দেয়। এ সময় সে ভয়ে ডাক চিৎকার দিলে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পাশের পরিত্যক্ত একটি বসতঘরে নিয়ে দুই লম্পট তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও তাহা ভিডিও ধারণ করে।