রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল : বরিশালে ডোবা থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মো. হাসান প্যাদার বেতনের টাকা এবং মোবাইল ছিনতাই করতে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। হাসান বরিশাল শহরের কাউনিয়া বিসিক এলাকার বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ছিলেন।
৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় ফোনে জানানো হয় যে, বরিশাল জেলার বাঘিয়া গ্রামে একটি অজ্ঞাত পুরুষের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক মেডিকেল বিভাগে প্রেরণ করে। সিআইডি এবং বরিশাল পুলিশের যৌথ তদন্তে মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়, তিনি ছিলেন মো. হাসান প্যাদা (৫০)। তার পিতার নাম খোকন প্যাদা এবং তিনি বকসিরচর এলাকার বাসিন্দা।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, হাসানকে হত্যা করার পর তার মোবাইল ফোন এবং টাকা ছিনতাই করা হয়েছিল। পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে সাকিব সরদার (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে, যিনি রহমতপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। সাকিবের দেওয়া তথ্যে আরও এক আসামী, মুন্না হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। মুন্না ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার চবেচরী গ্রামের বাসিন্দা।
তদন্তে জানা যায়, সাকিব, মুন্না এবং হাসান মাদক সেবন করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হাসানকে হত্যা করে তার মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে। পরে লাশটি কচুরি পানার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু আলামত উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে হাসানের মোবাইল ফোন, সাকিবের প্যান্টের বেল্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমরা দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। পুলিশ এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সচেষ্ট রয়েছে।” সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মশিয়ার হোসেন এবং এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন।
এদিকে, হাসানকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করে স্থানীয়রা আজ বিকেলে নগরীর লাকুটিয়া সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
Leave a Reply