রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এর উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান ভিসি এবং প্রক্টর ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নানাভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের নানা অভিযোগ থাকলেও সবসময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তাঁবেদারি করার কারণে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হননি। এই ভিসি এবং প্রক্টর যতদিন শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চেপে থাকবে ততদিন সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে না।
এসময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো চলতো বরিশাল সিটি করপোরেশন সাবেক দুই মেয়রের কথায় আবার কখনো চলতো সদর সাংসদের কথায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টরসহ অনেক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় বেশি দেখা যেতো। এসব বিষয় কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেয়নি।
সমাবেশ থেকে তাদের দুজনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা; অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল স্তরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিযুক্ত ব্যক্তিদের গণপদত্যাগের সম্মুখীন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। তিনি ট্রেজারার হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালে যোগদান করেন। এরপর তৎকালীন উপাচার্যর মেয়াদকাল শেষে হলে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে উপচার্যর দায়িত্ব পালন করেন ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া । পরবর্তীতে আলোচনায় থাকা সিনিয়র অধ্যাপকদের পেছনে ফেলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০২৪ সালে সরাসরি উপাচার্য পদে নিয়োগ আনেন তিনি। যদিও সরকারের উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন ক্ষমতাশীন দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে কলাম লেখালেখির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কাজে হাত দেন। তবে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পূর্বে একাধিক সভা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষকদের ব্যবহার করার পাশাপাশি যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাশে অবস্থান নেন তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যর বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে তার কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে আইন বিভাগের সিরাজুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের মো. সিহাব, ইংরেজি বিভাগের মিজানুর রহমান মিজান, ইতিহাস বিভাগের মোশারফ হোসেন, বাংলা বিভাগের মো. আশিক আহমেদসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয় মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
Leave a Reply