শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের মধ্যে এই ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক ঘিরে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও বৈঠক শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা বা সিদ্ধান্তের একধাপ আগেই রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই বৈঠককে অনেকেই লন্ডনের আলোচিত বৈঠকের ফলোআপ বলেই দেখছেন। ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচনায় ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবারের এই বৈঠককে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে সিইসি জানিয়েছিলেন, সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা না হওয়ায় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হয়নি। তবে সরকারের ‘ভাব’ বোঝার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখন হয়তো সেই ‘ভাব’ নির্বাচন কমিশনের কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি, নির্বাচন কমিশনের প্রতি একাধিকবার নির্দিষ্ট সময় ঘোষণার চাপ দিয়ে আসছিল। অনেকেই চাইছে ইসি যেন সরকারের কথার বাইরে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, সংবিধান কার্যত অসাড় হয়ে পড়ায় ইসির স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তাঁর মতে, সিইসি সম্ভবত এই বৈঠকে ফেব্রুয়ারির ভোটের বার্তা পেয়েছেন এবং তা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, লন্ডনের বৈঠকে যে ফেব্রুয়ারির আভাস ছিল, এই বৈঠক সেই ধারাবাহিকতা বহন করছে।
সবশেষে, এখন রাজনৈতিক দৃষ্টি রবিবারের দিকেই, যখন সিইসি ফুল কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচনের সময়সূচি ও সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply