রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্ভাব্য ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় কর্মপন্থা নিরুপনে বরিশালসহ দক্ষিণের জেলায় জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিলে সেটি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি গোটা বিভাগ জুড়ে ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং সাড়ে ৪ শতাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সভায় ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, র্যাব সদস্য, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, স্কাউটের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে ৪৭০-৪৭২ টির মতো মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যারা দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। বিভাগের হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ রয়েছে। আশাকরি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
এদিকে গোটা বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তারা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ভোলায় ৭৪৬, পটুয়াখালীতে ৭০৩, বরগুনায় ৬৪২, বরিশালে ৫৪১, ঝালকাঠিতে ৪৮৮ ও পিরোজপুরে সর্বোচ্চ ৮৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেই সঙ্গে ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
এছাড়া বিভাগ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল সদরে ৬০, ভোলায় ১৩৬০০, পটুয়াখালীতে ৮৭০০, বরগুনায় ৮৪৪০ ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১৭০০ জন সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। যারা ৪ নম্বর সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পতাকা উত্তোলন, মাইকিং দিয়ে প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সিপিপি’র উপ পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ।
এছাড়া বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্যোগকালে নিরাপদ আশ্রয়ের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি চাল, শুকনা খাবার ও অর্থসহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্যোগমোকাবেলায় সরকারি দপ্তরসমূহ কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply