রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮১ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে বিভাগের ছয় জেলায় ৯ হাজার ৮ হেক্টর পরিমাণ জমির ৯৩ হাজার ৮৮২ পুকুর, দিঘী ও ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২২ হেক্টর আয়তনের ১২০টি কাঁকড়া, কুচিয়া খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো তথ্যে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মধ্যে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক রয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো। আর বিভাগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রিমাল ও অতিবৃষ্টির কারণে ৯০ হাজার ৭৯৮ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমি। এছাড়া আংশিক থেকে ১৫ হাজার ৪৮৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ফলে ১৮ হাজার ২০৯ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তের হিসাবে গিয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আউশ (বীজতলা ও আবাদসহ), চিনা বাদাম, মরিচ, মুগ, তিল, শাক সবজি, পাট, পান, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফল রয়েছে। আর এতে উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বিভাগের ছয় জেলায় ৯ হাজার ৮ হেক্টর পরিমাণ জায়গার ৯৩ হাজার ৮৮২ পুকুর, দিঘী ও ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২২ হেক্টর আয়তনের ১২০টি কাঁকড়া, কুচিয়া খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বিভাগের পুকুর, ঘের, স্লুইস গেটের মতো অবকাঠামোর ক্ষতি সাধনের পরিমাণ ৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আর মৎস্য বিষয়ক সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ ২১৭ কোটি টাকার বেশি। খামার, পুকুর, দিঘী ও ঘেরের ক্ষতির কারণে বিভাগজুড়ে দেড়শ কোটি টাকার অধিকমূল্যের ৭ হাজার ৯২ মেট্রিকটন মাছের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১৫৯ মেট্রিকটন চিংড়ি, প্রায় ৭ কোটি পোনা ও ৬৯ মেট্রিকটন কাঁকড়া, কুচিয়ার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কোনো জেলে নিহত হননি। তবে ৩১ জন জেলে আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া সাড়ে ৩ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ১ হাজার ১৯টি নৌযান (নৌকা/ট্রলার/জলযান) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসাথে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যে ৮৯৪টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Leave a Reply