শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক তরুণীকে দুইদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে।নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম। তবে তারা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সাভারের আশুলিয়া এলাকার তার এক খালা সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দারের কাছে প্রায় ৩ লাখ টাকা পান। পাওনা টাকা আদায়ে বুধবার বিকালে ওই খালা তাকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। এসআই সেকেন্দার তাদের দুইজনকে নিয়ে থানা সংলগ্ন সাটুরিয়া ডাক বাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে থানার আরেক এসআই মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত হন। তরুণী ও তার খালাকে আলাদা রুমে আটকে রাখে তারা। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
২ রাত ২ দিন পর শুক্রবার সকালে তরুণী ও তার খালার হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সেকেন্দার তাদের সাটুরিয়া থেকে চলে যেতে বলেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তরুণীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযুক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, রাতেই মৌখিক অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাটুরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply