শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একমঞ্চে বসেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের অভিজাত হোটেল দ্য ডোরচেস্টারে আয়োজিত এই বৈঠককে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা আলোচনায় ড. ইউনূস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সুপরিকল্পিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি জানান, যদি রাজনৈতিক সংস্কার এবং বিচারব্যবস্থায় কার্যকর অগ্রগতি সাধন করা যায়, তাহলে আগামী বছরের রমজান শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। অনেকেই এই বৈঠককে একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান হিসেবে দেখছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই বৈঠককে “ঐতিহাসিক” বলে আখ্যায়িত করেন। তার ভাষায়, “এটি দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে। গোটা জাতি লন্ডনের দিকে তাকিয়ে আছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলছেন, এই সংলাপ কেবল বিএনপির জন্য নয়, বরং গোটা রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্যই নতুন আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে—ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের পথে আদৌ কতটা অগ্রগতি হবে? সকলের দৃষ্টি এখন দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথের দিকে
Leave a Reply