শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে হাত-পা কেটে দেয়ার মামলায় আমতলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ১২ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মো: নাহিদ হাসান এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা ওরফে আবু মুছা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা ছাত্র লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খান, যুবলীগ নেতা তানজিল, মিরাজ মিয়া, আল ফাহাদ, রিয়াজ মুন্সী, রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, কবির ও সবুজ।
এরা সকলই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা। এ মামলায় আঃ মালেক খান ও মো: হাচান মৃধা পলাতক ও অপর আসামি রায়হান জামিনে রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো: মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার। চলতি বছরের ২১ মে রাত ৮টার দিকে আবুল কালাম আজাদ উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে নোমরহাট পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছলে আসামিরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা রামদা-ছেনা দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা, দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। হাত-পায়ের রগ কেঁটে ফেলে।
এ ঘটনায় ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ আমতলী থানায় পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, কাউন্সিলর জিএম মুছাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেন। আসামিরা হাইকোর্ট থেকে দু’সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হয়।
ভিকটিম ও বাদির মামা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মেয়র মো: মতিয়ার রহমান বলেন, আগেও ১৯৯৬ সালে জিএম মুছা ওরফে আবু মুছা এক ছাত্র মনিরকে আট টুকরো করে হত্যা করেছিল। গত ১৪ তারিখ হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আগাম জামিন বিষয়ে আপিল করলে কোর্ট জামিন বাতিল করেন। পরে আসামিরা জেলা জজকোর্টের সাথে প্রতারনা করে জামিন নেন।
এ বিষয়টি বরগুনা জেলা জজ গত ২২ তারিখে জানতে পেরে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে। পরে নিম্ন আদালত তাদেরকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply