সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজন নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাত ১১টা থেকে গতকাল রবিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ছয়জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের ফলাফলই নেগেটিভ আসে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
মৃতরা হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার সদরের হামিদ খন্দকারের ছেলে খন্দকার আলী হোসেন (৭০), একই উপজেলার রাম নগর এলাকার রকিবুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৪০), বরিশাল নগরীর বিমানবন্দর থানা এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৪), নগরীর কাউরিয়া ব্রাঞ্জ রোড এলাকার বলয় চাদ দাসের স্ত্রী পুতুল রানী দাস (৬০), উজিরপুর উপজেলার শারশি এলাকার নূর মোহাম্মাদ সরদারের ছেলে ইউসুব সরদার (৩৫) এবং পটুয়াখালী জেলা সদরের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনি ভূইয়ার ছেলে কালাম ভুইয়া (৬০)।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, ১৮ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে খন্দকার আলী হোসেনকে শেবাচিম হাসপাতালের করেনা ইউনিটে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার রাত ১০টায় তিনি মারা যান। এ আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ফাতেমা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি মারা যান। পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
একই দিন বিকেল বিকেল সাড়ে ৪টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয় ইউসুব সরদারকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মৃত্যুরবন করেন। পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না।
ওই দিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিট উপসর্গ নিয়ে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয় ফিরোজা বেগমকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ৮টা ১ মিনিটে তিনি মারা যান। পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্টে তার নেগেটিভ আসে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে পুতুল রানী দাসকে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্টে তার নেগেটিভ আসে।
একই দিন রাত ৪টা ৩০ মিনিটে উপসর্গ নিয়ে কালাম ভুইয়াকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১১টার সময়ে তিনি মারা যান। ল্যাবের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনিও নেগেটিভ ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন, মৃত্যু ছয়জনের মধ্যে ফাতেমা বেগম নামের এক নারী করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকী ৫ জনের উপসর্গ থাকলেও তারা কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী তাদের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply