মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রপিোর্টার:
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন কালাম মোল্লার বাহিনী। একর পর এক হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েই চলছে। হামলার শিকার প্রার্থী ও সমর্থকরা সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দিয়েও বিশেষ কোন সুফল পাচ্ছেন না। ফলে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে ৩০ জুলাই তারা এই ‘মোল্লা বাহিনীর’ তান্ডবে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা? এর আগেও কয়কে দফায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের মারধর করলেও এবার কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এম.আর মুকুল গিয়ে মারধরের শিকার প্রার্থীকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় আজ (২৬ জুলাই) বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নি অফিসারের দফতরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মজিবর রহমান আবেদনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযো্গ আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে কালাম মোল্লার নির্দেশে তারই ছোট ভাই কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমানে ঘুড়ী প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়াজ মাহমুদ বেগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ব্যপক ভাংচুর চালানো হয়। এসময়ে নিয়াজ মাহমুদ বেগসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়।আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অহতরা হলেন, জাহিদ হোসেন, খান রাসেল, মাহাবুবুল আলম ভুলু, আলমগীর হোসেন খান, আঃ রব হাওলাদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৫ জুলাই) রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ৩০ নং ওয়ার্ডের কলাডেমা এলাকায় এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়াম মাহমুদ বেগ জানান, ৩০নং ওয়ার্ডের কলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে তার নির্বাচনী কার্যালয়।সারাদিন নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে রাতে ওই কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থীত ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী কালাম মোল্লার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে ওই স্থানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্বাচনী কার্যালয়ে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করে।
তিনি বলেন, লিটন ও কালাম মোল্লার হামলার শিকার হয়ে আমি পার্শ্ববর্তী তোতা মিয়া নামক ব্যক্তির ঘরে আশ্রয় নেই। সেখানে কালাম মোল্লা ও লিটন মোল্লা তাদের অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত)সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply