শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
আরিফ হোসেন, বাবুগঞ্জ: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য মাটি বহনকারী গাড়ীর চাকা ও মাটি কাঁটা ভেকুর তান্ডবে জনগুরুত্বপূর্ণ এলজিইডি’র পাকা সড়ক ধসে পরার উপক্রম হয়েছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করার কেউ না থাকায় জন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের পূর্ব দেহেরগতি ১ নং ওয়ার্ডের (আঞ্চলিক কৃষি গবেষণার পিছনে) ওগোল বুনিয়া দিঘি থেকে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় ওয়ালিদ বিন মিরাজুল ইসলাম ও রিয়াজসহ কয়েকজন। দিঘিটির পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর পাশে রয়েছে এলজিইডি’র জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ভেকু দিয়ে ওই দিঘির মাটি কাঁটায় হুমকির মুখে রয়েছে রাস্তাগুলো। রাস্তা ভাঙ্গন প্রতিরোধে দেয়া সরকারি পিলারসহ ভেঙে পরার আশংকা রয়েছে। এছাড়া গত ১৫ দিন যাবৎ দিন-রাত হেভিওয়েট ট্রাক দ্বারা মাটি পরিবহন করায় দিঘি থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কেথাও রাস্তা ভেঙে পরছে, সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধুলোবালির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাতায়াতে করছে। এছাড়া স্থানীয় হাজারো মানুষ জিম্মি দশায় পরেছে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে। স্থানীয়দের প্রতিবাদ গায়ে মাখছে না প্রভাবশালীরা।
জানাযায়, ওই দিঘির জমির মালিকরা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এর কাছে মাটি বিক্রি করেছেন। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ক্রয়ক্রিত মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাকের মাধ্যমে মেসার্স আলী ব্রিক্সে সরবরাহ করছে। ফলে ওই এলাকার জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে রাস্তা ধ্বংস করা হলেও ক্ষতিরোধের জন্য কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে সড়ক দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল বিপদজনক হয়ে পড়েছে। ধারনা করা হচ্ছে সামান্য বৃষ্টি হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ওই খানাখন্দ রাস্তায়। স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে হয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ী দিঘি থেকে একটু দুরে। বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। রাস্তার ক্ষতি করে মাটির ব্যবসা করা অন্যায়।
দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এর কাছে ইট ভাটায় মাটি পরবহন করে রাস্তার ক্ষতির ব্যাপারে জানতে ফোন দেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা বলেন, এতদিন যাবৎ সরকারি রাস্তা নষ্ট করে ইটভাটায় মাটি পরিবহন করা হচ্ছে অথচ মেম্বার /চেয়ারম্যান আমাকে জানায়নি! এ ঘটনায় ওই এলাকা থেকে কেউ কোন অভিযোগ করে নি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply