সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
এইচ এম হেলাল ॥ ১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির একটি কলংকিত অধ্যায়। এ দিন সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রতি বছর এ দিনে সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। বরিশাল বিভাগ জুড়েও দিবসটি যথাযথভাবে পালন করা হয়।
বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে র্যালী, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা হয়। এছাড়া নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে পারিবারিকভাবে দোয়া মোনাজাত ও কাঙালীভোজের আয়োজন করা হয়।
এদিকে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কুরআনখানি ও দোয়া মোনাজাত শেষে কাঙালীভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আর বরিশালে তরুন নেতা আরিফিন মোল্লা নিজ উদ্যোগে প্রতি বছর এই দিনে হাজার হাজার মানুষকে পেট ভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তার এ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে দাবী করেন আরিফিন মোল্লা। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বলেন, তবারকের ব্যবস্থা মেয়র করেছেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তো হচ্ছেই আবার জেলার পক্ষ থেকে দরকার কি ? অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে মহানগর যদি না করে তাহলে জেলা করছে কিনা জানতে পারেন, আর এটা কি নিউজ হবে নাকি এই বলে তিনি মুঠো ফোন কেটে দেন। তবে মহানগর আ’লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে কোন কাঙালীভোজের আয়োজন করা না হলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আরিফিন মোল্লা নগরীর চৌমাথা, নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, সদর রোড, সিঅ্যান্ডবি সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৫টির বেশি তোড়ণ স্থাপন করেন। গত বছর ১৫ আগস্ট তার রায়পাশার বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। কিন্তু তার এ মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় এবার তিনি বরিশালে কোন আয়োজন করেননি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় ২০ থেকে ২৫টি মসজিদ ও এতিমখানায় তিনি কাঙালী ভোজের আয়োজন করেছেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, গত বছর আরিফিন মোল্লা হাজার হাজার মানুষকে দুপুরে খাবার খাওয়ানোর সমালোচনা করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, আরিফিনকে নেতার স্বীকৃতি দিল কে? এটা কি মগের মুল্লুক! জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বলেন, মোটা টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে আরিফিন যা করছেন, তা অন্যায়। টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায় না।
সূত্রটির দাবী এ জন্যই এ বছর আরিফিন মোল্লা নিজ শহর বরিশালে শোক দিবস পালনে কোন আয়োজন করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফিন বলেন, দেশের সব জায়গায় ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তাছাড়া নিজেকে নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চাইনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করি। যে যা বলুক আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবো।
Leave a Reply