রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার।। নেছারাবাদের বাড়রা গ্রামের এক ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই গ্রামের ৪ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীটির পরিবার। ওই ঘটনাকে সাজানো এবং মিথ্যা মামলা দাবী করে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সকালে এলাকার নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে মামলা দায়ের করা পরিবারকে মামলাবাজ পরিবার ও তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে ওই এলাকার মানুষ এ বিক্ষোভ মিছির বের করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ মামলা দায়ের করা পরিবারের মেয়েটির চাচা জাকির হোসেন বিভিন্ন সময় এলাকার বেশ কয়েকজনকে ফাঁসানোর জন্য তার মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী এলাকার জাকির হোসেন তার পরিবারের মেয়েদের দ্ধারা এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেদের প্রেমের ফাদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে শালিস ব্যবস্থার দ্বারা টাকা পয়সা উপার্জন করে করেছেন।
সর্বশেষ ৯ জুন এক হত দরিদ্র পরিবারের ইমরান(১৬) নামে এক খেটে খাওয়া যুবক সহ মোট চার যুবকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তাই তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য তারা(গ্রামবাসী) ওই বিক্ষোখ মিছিল করেছেন।এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ের চাচা জাকির দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে তার বাড়ীতে বিচারের জন্য এসেছিলেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের স্মরনাপন্ন হয়ে বিচারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। হয়ে ছিলেন।
কিন্তু জাকির হোসেন পরে তাদেরকে উপেক্ষা করে থানায় মামলা দিয়েছেন। ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা আরো বলেন, মামলার প্রধান আসামী ইমরান এলাকায় ভাল স্বভাবের ছেলে। এমনকি তার বাবাও একজন খেটে খাওয়া লোক। টাকার অভাবে ইমরান পড়াশুনা করতে পারেনি। তাই সংসারের অভাব-অনটনে তারা দুই বাপ ছেলে মিলে বালির ট্রলারে কাজ করে খায়। এখন মামলা খেয়ে ছেলেটি বাড়ী ছাড়া হয়েছে। তার বাবাও দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
হাজির হয়ে এলাকার মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। তাদের হাত থেকে এলাকার মানুষ বাঁচতে চায়।এব্যাপারে মামলা দায়ের করা পরিবারটি জানায়, স্থানীয়রা মিলে তাদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবী করেন। ওই কিশোরী মেয়েটি বলেন, মামলার চারজন আসামী তাদের এলাকার লোক। ঘটনার দিন সে বাসা থেকে ফুচকা খেতে বের হয়েছিল। পথিমধ্যে ইমরান তার ওড়না টেনে নিয়ে শরীরে হাত দিয়েছে। সাথে থাকা বাকি তিনজন তাকে কিছু বলেনি।
Leave a Reply