নদী ভাঙন রোধে ব্লক না ফেলেই বিল উত্তোলন Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
শেবাচিম হাসপাতালে পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন ব্রিঃজেঃ একেএম মশিউল মুনীর ‘সংস্কারের পাশাপাশি অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি’ : তারেক রহমান পিরোজপুরে ২৪ বছরেও সম্পন্ন হয়নি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ, জনদূর্ভোগ চরমে বরিশালে তথ্য মেলা: দুর্নীতি প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ মমতার বাঁধায় বন্ধ হতে পারে বাংলাদেশে আলু রপ্তানি ! কাউখালী উপজেলা জামায়াত ইসলামীর কমিটি গঠন বিএনপির শোক মিছিলে হামলা: রিমান্ডে হাসানাতপুত্র মঈন আব্দুল্লাহ খুনি হাসিনার পুনর্বাসন, জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে শহীদ ফাউন্ডেশন: সারজিস আলম নতুন কমিশনের দায়িত্ব ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা: রাষ্ট্রচিন্তা পরিষদ মহিপুরে নসিমনের চাপায় প্রান গেলো গৃহবধূর




নদী ভাঙন রোধে ব্লক না ফেলেই বিল উত্তোলন

নদী ভাঙন রোধে ব্লক না ফেলেই বিল উত্তোলন




ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠি শহরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন শতবর্ষী কুতুবনগর জামে মসজিদ ও কুতুবনগর আযিযীয়া আলিমা মাদরাসাসহ আবাসিক এলাকাকে সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে ৩০ মিটার ব্লক ফেলানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্লক না ফেলেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তার কাজের আগাম বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি অসাধু চক্র বিল উত্তোলন কাজে সহায়তা করছে বলেও জানা গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সুগন্ধা নদীর তীরের ভাঙন প্রতিরোধে এ প্রকল্পের দুদফায় কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। অথচ ভাঙন কবলিত স্থানে কোনো ব্লক না ফেলে ঠিকাদার ৫৫ লাখ টাকার আগাম বিল উঠিয়ে নিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইচ এন্টারপ্রাইজ বলছে, প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে যারা কাজ করেছেন এ দায় তাদের। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ দিকে সুগন্ধা নদীর কুতুবনগর এলাকায় ভাঙন তীব্র হওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে গেছে অনেক পরিবার। অনেকে আবার সব হারিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে এবং নিকটাত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, অনুন্নয়ন রাজস্ব খাত প্রকল্পের আওতায় এ কাজের প্রথম ধাপের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ঠিকাদার তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এরপর দ্বিতীয় দফায় কাজ শেষ করার সময় ছিল এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ঠিকাদার দুলাল হাওলাদার ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল কাজ শুরু করার দিন থেকে ব্লক না ফেলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করেন। বাসস্ট্যান্ড কুতুবনগর এলাকায় কুতুবনগর মাদরাসা থেকে পূর্ব দিকে ৩০ মিটার ব্লক ফেলার জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১ হাজার ২১টি ডাম্পিং ব্লক, ১২শ প্লেসিং ব্লক এবং ৪ হাজার ৩৩০ জিও ব্যাগ ফেলার কথা সুগন্ধা নদী ভাঙন কবলিত স্থানে। কাজ সম্পন্ন না করায় ঠিাকাদারকে তা দ্রুত সম্পাদনের চিঠি দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চিঠির কোনো জবাব দেননি ঠিকাদার, শুরু করেননি কাজও। উল্টো ঠিকাদারকে আগাম ৫৫ লাখ টাকার বিল প্রদান করে নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কিছু তৈরি করা ব্লক ভাঙন কবলিত এলাকায় ফেলে রাখা হয়েছে। ব্লকগুলো ফেলার কোনো তৎপরতায় নেই ঠিকাদারের।

এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইচ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাহাবুদ্দিন আজাদ বলেন, আমার লাইসেন্সে এ কাজ করেছেন ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

তবে ঠিকাদার ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার জানান, আমি এ কাজের জন্য ৫৫ লাখ টাকা এনেছি ব্লক তৈরির জন্য। ব্লক তৈরি করা হলেও ফান্ড না থাকায় এগুলো ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে দিন টাকা দেবে সেদিন ব্লক ফেলার কাজ শেষ করে দেব।

এ কাজের মেয়াদ দু’দফায় বাড়ানো হলেও কাজ না করায় নদীর ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে দুলাল হাওলাদার বলেন, বরাদ্দ না দিলে আমার কিছুই করার নেই।

এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবাগত সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, এই কাজের টাকা নিয়ে কাজ না করার ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এর মধ্যে কাজ না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, আমি উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। স্থানীয় ঠিকাদারের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান বর্তমানে পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ঢাকায় কর্মরত আছেন। তিনি জানান, আমি একাধিকবার চিঠি দিয়ে ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়েছি। তিনি কাজে অবহেলা করেছেন। ব্লক তৈরি করার জন্য তাকে আগাম বিল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠির বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD