রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশাল নগরীর কাশিপুরের ইছাকাঠী কলোনীতে গলায় ফাঁস দিয়ে তৃপ্তি বাড়ৈ (২১) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি কাশিপুরের ইছাকাঠী কলোনির বাসিন্দা দানিয়াল বাড়ৈর মেয়ে সে বরিশাল মহিলা কলেজের ৩য় বর্ষ ছাত্রী বলে জানা যায় ।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, তৃপ্তির প্রায় এক বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা পিটারের ছেলে চন্দনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর কিছুদিন পর তাদের আবার সখ্যতা গড়ে উঠলে এ নিয়ে তাদের পারিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে তৃপ্তি তার মুঠো ফোনে দিয়ে চন্দনকে তার বাসায় নিতে বলে,চন্দন তাকে নিতে অনিহা প্রকাশ করলে তৃপ্তি নিজেই তখন বলেন ,তুমি আমায় নিবা ,নইলে আমি গলায় রশি দিব,এমন কথা শুনে চন্দন দুরুত তৃপ্তির বাসায় ছুটে যায়।ঘরের জানালা,দরজা বন্দ দেখে ডাকচিৎকার শুরু করে চন্দন।স্থানীদের সাথে চন্দন দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে দেখেতে পান তৃপ্তি নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে জুলে রয়েছে ।গলায় দেয়া ওড়না খুলে চন্দন ও স্থানীরা মিলে দুরুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, তৃপ্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।সুত্রবলছে , পিতা দানিয়াল একজন দিনমজুর তার দুই সন্তান এক ছেলে এক মেয়ে ।তৃপ্তি পরিবারে বড় মেয়ে ,যদিও বড় মেয়ে কোনো বায়না ধরলে তা দিতে যেন বাবা দানিয়াল সব সময়ের জন্য প্রস্তত ছিলেন।সন্তনদের বুঝতে দিতে চাইতেন না কতটা কষ্ট তিনি করেন ।
সন্তনদের মুখে হাসি ফুটানো ছিলো তার লক্ষ।দানিয়ালের বক্তব্য ছিলো ‘মা’ তুই ভালো করে পড়াশুনা কর ।ছেলেকে একাই কথা বলতেন । বড় মেয়ে তৃপ্তি হোষ্টেলে থেকে পড়াশুনা করতেন ,হোষ্টেল থেকে ছেলে পড়াশুনা করেন ।তৃপ্তিকে কোন এক কারনে হোষ্টেল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার।বেশ বছর দুই এক আগে শুরু হয় তৃপ্তির ঘুটগুটে কালো অন্ধকার দিন !!উল্টো পথে তুপ্তির হাটা সন্দেহ জনক হলেও বাবা মা’র কাছে তৃপ্তি ছোট ।হঠাৎ কিছু বুজে উঠার আগেই তৃপ্তি চলে যায় অজানার উদ্দশে।এদিকে তৃপ্তির অনুপস্থিত যেন পরিবারের কান্যার রোল, হরন্য হয়ে খুজতে শুরে করে দেয় তার পরিবার সহ স্বজন ।প্রায় তিন মাস পরে বাসার ফোনে ওপার থেকে একটি রিং আসে , সুখী সুরের কন্ঠে ভাসতে শুরু করে তৃপ্তির ভাষা বদলে যায় তার জীবন,গড়ে তোলে নতুন ইতিহাস।তৃপ্তির জীবনে নতুন করে সংসার বাধার স্বপ্ন, পরিবারের প্রশ্ন এত কম বয়সে পড়াশুনা শেষ না করে মেয়েটা কি করলো ? যাই করুক মেয়ে তো আমার ,ফালিয়েতো দিতে পারিনা ?তৃপ্তির জীবনের পালানো দিন শেষ ,দুই পরিবার মেনে নেয় তাদের বিবাহ ।নতুন সংসার শুরু করে তৃপ্তি বেকার যুবক চন্দনের সাথে।পুরোনো ইতিহাস জন্ম দেয় চন্দন,বেকার চন্দন কাজ তো করেই না বরং বাসায় এসে বউ’র সাথে ঝগড়ার মিছিল ধরে। অবশেষ, প্রতিদিন মিছিল শুনতে,শুনতে প্রায় ৮/৯ মাস পূর্বে বরিশাল আদালত পারায় গিয়ে ডিপোর্স পেপার বেকার চন্দনকে দেন তৃপ্তি ।এ নিয়ে একাধীকবার স্থনীয় শালিস হলে তা মানতে না রাজ তৃপ্তি । রহস্য জনক বিষয় হলো ,তৃপ্তি চন্দনে ছেরে দিলো,কিন্তু কি এমন গোগনীয় কথা হতো তাদের?যা পরিবারের অজানা কথা !
Leave a Reply